নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্মৃতি পাঠাগারটি বেহাল দশা। ১৯৯৭ সালে আলহাজ¦ আব্দুল মোতালিব, আলহাজ্ব এম এ খায়ের, মো: আব্দুল হক ও এলাকা বাসীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার যা এখন বিলুপ্তির পথে। সচেতন মহলের প্রশ্ন প্রায় ১০ বছর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও বন্দরে একটি মাত্র জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমার স্মৃতি পাঠাগারটি বিলুপ্তির পথে কেনো? সরকারি অনুদানের টাকা কোথায় গেলো? বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারটি উন্নয়ন না হওয়ার জন্য দায়ী কে?
সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারটি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরের সনামধন্য তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ, বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ ও ৪৯নং সরকারি বালক প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গড়ে তোলা এই বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারটি অকেজো অবস্থায় রয়েছে। জানালা আছে গ্লাস নেই, দরজা আছে তালা নেই, ভবন আছে উপরে চাল নেই, বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়া কিছুই নেই।
পাঠাগারের সামনে দিয়ে হেটে যাওয়া কিছু শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ কালে বলেন, যে বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা পেয়েছি মাতৃভাষা, যার জন্য পেয়েছি আজ আমাদের সাধীন বাংলাদেশ সেই বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের এই অবস্থা দেখে খারাপ লাগে, বড় হলে এই পাঠাগারটি উন্নয়ন করবো। আজ এই পাঠাগারটি সচল থাকলে অবসর সময় আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও বাংলার ইতিহাস জানতে পারতাম।
এব্যাপারে এলাকাবাসী বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারটির দুর অবস্থা হবার কারন এলাকার কোন্দল। কিছু লোক আছে মন থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা নেই কিন্তু মুখে বড় বড় বুলি আছে তাদের কারনেই আজ এই অবস্থা। পাঠাগার কমিটির সভাপতি সাধারন সম্পাদক সবই আছে কিন্তু পাঠাগার দেখার মত লোক নেই।
এব্যাপারে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি মো: ফরিদ হোসেন রবি বলেন, পাঠাগারটির দুর অবস্থার একমাত্র কারন টাকার। সরকারি ভাবে পাঠাগারের নামে দুই বার অনুদান এসেছে কিন্তু বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানের সময় পাঠাগারটি ভাঙ্গা পরলে তা পুনরায় সংস্কার করা হয়। আবার সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা বৃদ্ধির ফলে পাঠাগারটি ভাঙ্গা পরে সেটি আবার সংস্কার করা হলে আনুদানের টাকা শেষ হয়ে যায়। আমি একাধিক বার সকলের সহযোগীতা নিয়ে পাঠাগারের উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনাই।