নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : বন্দরে কলাগাছিয়া ব্লকে কৃষক উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে ধানে জমিতে পার্চিং উৎসব করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নস্থ মিরকুন্ডী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী কয়েকটি ধানের জমিতে এ উৎসব পালন করা হয়।
বন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা এমরান হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পার্চিং উৎসবে প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়নগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আব্বাস উদ্দিন।বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহন করেন বন্দর উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মফিজুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার জয়নাল আবেদীন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সিরাজুল ইসলাম,কাজী আশরাফ উদ্দিন,হিরালাল দাস,মোঃ মোতালিব মিয়াজী সাহেদুল ইসলাম,হেদায়াতুল ইসলাম,আঃ রউফ,জায়েদা খাতুন,মাহমুদা আক্তার ও এলাকার কৃষক-কৃষাণীগন।
এসময় প্রধান অতিথি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন পার্চিং উৎসব আমাদের জন্য নয় এটা সম্পূর্ণ আপনাদের উৎসব এর দ্বারা ধান উৎপাদনে দেশে বিপ্লব ঘটবে। এরই মাধ্যমে কৃষকদের সফলতার নতুন মাত্রা যোগ হল।
পরিশেষে মোস্তফা এমরান বলেন,ধানের জমিতে গাছের ডাল ব্যবহার করলে সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আগমন ঘটে। অতঃপর পাখিরা ধানে আক্রমনকারী ক্ষতিকারক পোঁকা খেয়ে খাদ্য শৃঙ্খল রক্ষায় অংশ নেয়,যাতে পরিবেশের সৌন্দর্য্যরে পাশাপাশি ধান উৎপাদন কয়েকগুনে বেড়ে যায়। মূলত এটাই হচ্ছে পার্চিং।
আমাদের ধানের জমিতে শত্রু পোঁকারা বসবাসের জন্য আদর্শ বলে বেছে নিয়েছে, বিশেষ করে মাজড়া পোঁকারা ধানের ব্যাপক বিনষ্টে অংশ নেয়। কিন্তু পার্চিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিশেষ করে শালিক ও ফিঙে এদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে। অর্থাৎ নিঃসন্দেহ আজ থেকে আমরা ধানের জমিতে নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছি। আশা করি অচিরেই এর উপর্যুক্ত ফলাফলে কৃষদের মুখে হাসি ফুটবে। এর আগের প্রধান অতিথি কলাগাছিয়া ব্লকের রাজস্ব খাতের ভুট্টা প্রদর্শনীসহ ধানের জমিতে ড্রাম সিডার ব্যবহারের পরবর্তী চিত্র পরিদর্শন করেন।