নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে এক ব্যবসায়ী সম্পত্তি দখলে নিতে গুলিবর্ষন করে নিরাপাত্তা কর্মী আনসার বাসস্থানে অগ্নিসংযোগ করেছে টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্ট মালিক পক্ষের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার রাতে কামতাল গ্রামে মীর ফখরুল ইসলামের প্রজেক্টে এ ঘটনা ঘটে।
সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষনে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা হাসিবউদ্দিন মিয়ার গার্মেন্ট ঢুকে পড়েন। নবীগঞ্জ এলাকা থেকে এই গ্রামে এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠে স্থানীয় গ্রামবাসী। পরে পুলিশ গ্রামবাসীদের সরিয়ে দিয়ে সন্ত্রাসীদের গার্মেন্ট থেকে বের করে গন্তব্যস্থানে পৌছে দেয় এমন অভিযোগ উঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।
গ্রামবাসী জানান, শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে মীর ফখরুল ইসলাম মালিকানাধীন বালুভরাট জমিতে গুলির শব্দ শুনে গ্রামবাসী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তে মধ্যে ছুটে আসে কয়েকশত গ্রামবাসী কবরস্থানের সামনে জড়ো হন। এসময় গ্রামবাসী ডাকাত ডাকাত বলে ডাক-চিৎকার করে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করার চেষ্টা চালালে সন্ত্রাসীরা হাসিবউদ্দিন মিয়ার টোটাল গার্মেন্টে ভেতরে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গ্রামবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রন করে। গার্মেন্টে ভেতরে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীর কাছে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। দুই ঘন্টা পর পুলিশ পাহাড়ায় তাদের বের করে নিয়ে যায়।
কেয়ারটেকার রফিকুল ইসলাম জানান, টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টের মালিক হাসিবউদ্দিন মিয়া, এলাকার জমির দালাল সফরউদ্দিন সপ্পা ও কবির হুসাইনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন টিনের ভাউন্ডারী ভেড়া ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে পড়েন। এসময় নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা বাঁধা প্রদান করে। এতে উত্তেজিত হয়ে এই মুহুর্তে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকলে আনসার সদস্যরা সরে যায়। তাদের ব্যবহৃত বাসস্থান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। গ্রামবাসী ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা গার্মেন্টের ভেতরে অবস্থান নেয়।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম শাহীন মন্ডল জানান, ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। টোটাল ফ্যাশন মালিক হাসিবউদ্দিন ঘটনার বিষয়ে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ওখানে কি ঘটেছে আমার জানা নেই। ফ্যাক্টরীতে কথা বলার পর বলতে পারবো ঘটনা কি হয়েছে।