নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁও সংবাদ দাতা ) : উন্নয়নের বাতি ঘর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, এগিয়ে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ নিরক্ষর থাকবো না, দেশের বোঝা হবো না সরকারের এমন শ্লোগান প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্র আজ অনেক উন্নতির দিতে দাবিত হয়েছে। কিন্তু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার করা হলে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্র উন্নয়নের আরো অগ্রগতি হবে এবং কোমলমতী শিক্ষার্থীরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে, নিরক্ষরও কমবে।
উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এমনই একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৫৩নং পাঁচপীর দরগাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘ সময় পার হলেও বিদ্যালয়টিতে কোন আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি। ঝরাঝীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২৬০ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। মানসম্মত পরিবেশ ও পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে ফ্লোরে বসেই পড়ালেখা করতে হয় কোমলমতী শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখায় যায়, টিনের চালা ঘরটিতে ঝরাঝীর্ণ অবস্থা, মেঝেতে ও দেয়ালে নেই প্লাষ্টার, ফ্লোর ছিদ্র হয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের, বাহির থেকে যেকোন সময় সাপ-গোপ প্রবেশের কারনে দুর্ঘটনার আংশকা করা হচ্ছে। টিনের চালা ছিদ্র ও ভাঙ্গা, সামান্য বৃষ্টি হলেই ভেতরে ফ্লোর কাদামাঠা হয়ে যায়। ফ্লোরে প্লাষ্টার না থাকায় এবরো থেবরো হয়ে আছে। দরজা, জানালায় রং না করায় জং ধরে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাহিরে দেখা যায় দেয়ালে রং নেই, মেইন গেইটে ও বাউন্ডারি দেয়ালেও একই চিত্র। টয়লেটের দরজা ভাঙ্গা থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বহিরাগত লোকজনের আনাগোনাও আছে বিদ্যালয়টিতে।
এব্যাপারে বাংলাদেশ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক ও মোকলমতী শিক্ষার্থীদের দাবী, অতি তারাতারি যেন নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য বিদ্যালয়টির দিকে নজর দেন এবং সোনারগাঁয়ে নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার দৃষ্টি কামনা করছেন অত্র এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাবেক সহকারী শিক্ষক তাওলাদ হোসেন বলেন, টিনের চালা ঘরটির ফ্লোরে ও ওয়ালে ফাটল থাকায় যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে। দ্রুত একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা দরকার।
প্রধান শিক্ষক মোসা: সামসুন নাহার বলেন, বিদ্যালয়টিতে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই একটি তিন তলা বিশিষ্ট আধুনিক ভবন নির্মান করা হলে ছোট ছোট বাচ্চারা আনন্দে তাদের শিক্ষাক্রম সম্পুর্ন করতে পারবে। এ ব্যপারে মাননীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা মহোদয়ের দৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।