নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শহর সংবাদ দাতা ) : তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বেড়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপকতা। কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ থাকলেও পরীক্ষার পূর্ব মুহুর্তেও বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দেখে নিতে যেন হাত ছাড়া করতে চায়না অনেকেই। ১১ ফেব্রুয়ারী রবিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
কিন্তু সকাল ৯টার সামান্য আগে-পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে যায়। এ সময় খানপুর হাসপাতালের আশপাশে দাঁড়িয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র দেখতে দেখা গেছে। অনেক শিক্ষার্থীই বইয়ের মনযোগ সরিয়ে যেন ব্যস্ত মোবাইল ফোন নিয়ে।
এদিকে প্রথম দুদিনের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ৪ ফেব্রুয়ারী শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছিল। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রশাসনও তৎপর রয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার আগ মুহুর্তে প্রশ্ন দেখার হিড়িক নিয়ে হতাশ অনেক শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকবৃন্দ। পরীক্ষার পর দেখা যায়, অন্যান্য দিনের মতো আজও মূল প্রশ্নের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে। এমনকি ফাঁস হওয়া ২৫টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সমাধানও শনিবার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নাগরীক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, সরকারের উচিত প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টিকে যথাযথভাবে দেখা। আর যদি না দেখে তাহলে ধরে নিবো, সরকার হয়তো চায় না দেশের মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হক। তিনি আরো বলেন, প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে পরীক্ষার কয়েক ঘন্টা আগে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় চাইলে ওই সময়টুকুর জন্য অনলাইন বন্ধ রাখতে পারতো।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শরিফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি।