নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় নির্মাণাধীন একটি স্টীল কোম্পানিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকতা পরিচয়ে অভিযানকালে ভুয়া তিন কর্মকর্তাসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮ই জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় এ্যাম্পেয়ার স্টীল কোম্পানিতে লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের আটক করে পুলিশে দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও এক ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। আজ ৯ই জুন বুধবার সকালে তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো : দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পূর্ব জগন্নাথপুর গ্রামের জমিরউদ্দীন মন্ডলের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম মানিক, নাটোর জেলার নালপুর উপজেলার গন্ডবিল গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সাইফুল ইসলাম সেন্টু, ডেমরার রামৈল গ্রামের জমির আলীর ছেলে কামরুজ্জামান ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানার জাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামের মৃত হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. সরাফ মিয়া।
জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় এ্যাম্পেয়ার স্টীল কোম্পানিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কোম্পানির ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় ওই কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন কাগজ পত্র দেখতে চায়। তাছাড়া বিষয়টি মীমাংসার জন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। বিষয়টি এ্যাম্পেয়ার স্টীল কোম্পানির মালিক আবুল কালামকে অবগত করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে কোম্পানির লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ- অঞ্চল) মো. বিল্লাল হোসেন ও তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূয়া কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ( ঢাকা মেট্রো- ১১-৭৫৪৬) ও গাড়ি থেকে এক ক্যান বিয়ার উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে এ্যাম্পেয়ার স্টীল কোম্পানির কর্মচারী আলী আকবর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়।
সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোম্পানিতে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদা দাবী ও মাদক আইনে দুটি মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।