নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার দলে কিছু নেতা আছে, যারা নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নৌকা চায়। চান ভালো, তবে নারায়ণগঞ্জের ৫টি কেন? আমি ৩০০ আসনেই নৌকা চাই। নৌকার প্রার্থী কে হবে সিদ্ধান্ত দিবেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটাই চূড়ান্ত। কোমরে মুরোদ নাই। শুধু এখানে বলে নৌকা দিতে হবে। মুরোদ থাকলে নেত্রীর সামনে গিয়ে নৌকা চান। এসব বলে এখন নেতাকর্মীদের বিভক্তি কইরেন না। দেশ বাচাঁনোর জন্য শেখ হাসিনাকে দরকার। ৩১জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে ৪টায় বন্দর খানবাড়ী মোড়স্থ মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের ২৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো: জুয়েল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি কমান্ডার গোপীনাথ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্মসম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম পলাশ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল।
তিনি আরও বলেন, কিছু নেতারা বলেন বন্দরে নাকি আওয়ামী লীগ নাই। এখানকার আওয়ামী লীগ নাকি শেষ হয়ে গেছে। আমি তাঁদের বলতে চাই, আজ বন্দরে এসে দেখেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। তাঁরা আবারও প্রমাণ করেছে, এই বন্দর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি ছিলো, ঘাটি আছে। সেলিম ওসমানের ভাই বলে আমি বক্তব্য দিচ্ছি না। সেলিম ওসমান যেভাবে নিজের টাকা দিয়ে রাজনীতি আর উন্নয়ন করছে দেশে আর এমন কোন এমপি নাই যে এভাবে কাজ করছে। আমি আমার নেত্রীর কাছে বলেছি সেলিম ওসমান তো সব টাকা শেষ করে দিচ্ছে। তখন নেত্রী বলেছেন এটাই হলো কাজ। এটার প্রতিদান আখিরাতেও পাবে। আমাদের আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই। আমরা তিন ভাই এমপি হয়েছি। আমরা এখন মানুষের জন্য কাজ করতে যাই। যেন মৃত্যুবরণ করলে মানুষ আমার জন্য কাঁদে।
এমপি শামীম ওসমান বলেন, আমি বন্দরের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলছি যখন মনোনয়ন দিবে তখন তো সবাই দেখবেন। রাজনীতিকদের মুখের বুলি আর পুলিশের গুলি একবার বের হলে আর আটকানো সম্ভব না। সুতরাং বক্তব্য ঠিকমত বুঝে শুনে দেওয়া উচিত। অনেকে মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা রাখে না তিনি আবার এমপি হতে চায়।
এসময় তিনি বিএনপি’র প্রতি চেলেঞ্জ ছুড়ে বলেন, আপনারা আগামীতে ক্ষমতায় আসবেন না। কারন খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা আত্মসাত করে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়া আপনাদের কাউকে বিশ্বাস করে না। তিনি বিশ্বাস করেন তথা কথিত সুশিল কুশিল সমাজের ব্যাক্তিদের। যাদের নামের আগে ডক্টর সহ অনেক উপাধী আছে। তিনি যদি আপনাদের বিশ্বাস করত তবে দলের দায়িত্বভার আপনাদের উপর দিত। তা না করে তিনি দায়িত্ব দিলেন তার ছেলে তারেক রহমানকে। যিনি থাকে লন্ডনে। তার জন্য আমার অনেক মায়া লাগে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. এ সালাম, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মাহাবুব রহমান কমল, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান স্মৃতি, সেচ্ছ সেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জয় প্রধান, কমল, রানা, রাশেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাফেল, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ, ডালিম ও আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।