নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের জালকুড়িতে ময়লার স্তুপ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। একটি চক্র আর্থিক সুবিধার্থে লিংক রোডের পাশে ময়লা ফেলতো। শনিবার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরার নেতৃত্বে দীর্ঘ সময় ধরে চলা অভিযানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে।
জানাগেছে, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়ার নির্দেশে জালকুড়িতে ময়লার স্তুপ অপসারনে করা হয়। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরার তত্বাবধানে চারদিন ব্যাপী তিনটি ভেঁকু দিয়ে ময়লা অপসারন করা হলেও গত শুক্রবার আবারো ময়লার স্তুপ দেখা যায়। পরে জালকুড়িতে দীর্ঘ সময় অবস্থান নেন হোসনে আরা।
হোসনে আরা জানান, ময়লার স্তুপ অপসারন করা হলেও কে বা কারা যেন ময়লার ভ্যান/ গাড়িগুলো এসে আবার রাস্তার উপর ময়লা ফেলে চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে মোবাইল কোর্ট টীমসহ বেরিয়ে পড়ি আমি। বিভিন্ন ময়লার ভ্যান থেকে মোট ১১ জন পরিচ্ছন্নকর্মীকে ধরতে সক্ষম হই আমরা। পরিচ্ছন্নকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য বেরিয়ে এল তা রীতিমত অবাক করার মত। জালকুড়িতে ময়লার স্তুপকে ঘিরে কাজ করছে একটি চক্র।
এখানে ময়লা ফেলতে ভ্যান/ গাড়ি প্রতি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা এ চক্রের সদস্যদের দিতে হয়। টাকার লোভে তারা গার্মেন্টস, ফ্যাক্টরি ও দুর দুরান্তের যত ময়লা পরিষ্কারের এজেন্ট আছে সবাইকে এখানে ময়লা ফেলার জন্য সহযোগিতা করছে। ফলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের জালকুড়ি এলাকায় তৈরি হয়েছে ময়লার পাহাড়। আটককৃত ১১ জন পরিচ্ছন্নকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদে এই সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য শাহীন মিয়াকে জালকুড়ি এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এসবের সত্যতা পাওয়া যায়।
অত:পর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধীকে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয় শাহীন মিয়াকে। অপরাধী শাহীন মিয়া কথা দেন তিনি ও তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা এ ব্যবসা আর করবেন না ও জালকুড়ির ময়লা অপসারনে সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছে। যদি তিনি বা তার দলের কেউ ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি করে তবে আরো কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
হোসনে আরা আরো জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যহত থাকবে। এসময় যেসকল গার্মেন্টস/ফ্যাক্টরি রাতের আধারে এসে এখানে ময়লা ফেলছেন তাদের এখানে ময়লা না ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন সদর ইউএনও হোসনে আরা।