নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (নিজস্ব প্রতিবেদক) : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সকল ভোটারের কাছে সরকারের উন্নয়নের ডিজিটাল বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়গুলোতে স্থাপন করা হচ্ছে স্মার্ট কর্নার। সেই সঙ্গে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ জুলাই রবিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ‘স্মার্ট কর্ণার’ এর উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক, মন্ত্রী পরিষদের সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার।
যে জন্য স্মার্ট কর্ণার :
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের সাথে কেন্দ্রের ভার্চুয়াল যোগাযোগের মাধ্যম হবে এই স্মার্ট কর্নার। আগামী নির্বাচনে স্মার্ট কর্নারের মাধ্যমেই সারাদেশে প্রচার টিম ম্যানেজমেন্ট করা হবে। প্রতিটি ভোটারের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা পৌঁছাতে স্মার্ট কর্নার হবে একটি কার্যকরী মাধ্যম।
এছাড়াও নির্বাচনের প্রচারের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও নিউজ পোর্টাল/পত্রিকার তালিকা করা হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও দলের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভার্চুয়াল যোগাযোগ তৈরি ও অনলাইন প্রচারে স্থানীয়দের সমন্বয় করার কাজটি হবে স্মার্ট কর্নারের মাধ্যমে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মকান্ডকে ‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়। তাছাড়া, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কর্মসূচিকে ‘সামাজিক আন্দোলন’ হিসেবে বর্ণনা করে এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেজন্যই সরকার ও দলকে স্মার্ট করে গড়ে তোলার উদ্যোগের কথা বলছেন দলের নেতারা।
স্মার্ট কর্নারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন, সফলতা তুলে ধরা হবে। এছাড়া দেশবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ও গুজবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হবে। সাংগঠনিক জেলার স্মার্ট কর্নার তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ভূমিকা রাখবে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সব সাংগঠনিক জেলায় ‘স্মার্ট কর্নার’ করছে আওয়ামী লীগ। সেজন্য প্রাথমিকভাবে ১৫ জেলার ১০০ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে দলটি।
স্মার্ট কর্নার ব্যবস্থাপনার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটি শাখার নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় করবে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। সেজন্য প্রত্যেক কমিটির একজন ফোকাল পয়েন্ট, চারজন স্মার্ট ক্যাম্পেইনার (দুজন নারী, দুজন পুরুষ) কাজ করবেন। এরপর একইভাবে প্রত্যেক উপজেলায় ১০জন করে (৫ জন নারী, ৫ জন পুরুষ) ক্যাম্পেইনার হিসেবে কাজ করবেন।