নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ভারতীয় তালিকাভুক্ত, লাল মুক্তিবার্তায় নাম অন্তভূর্ক্ত, বেসরকারি গেজেটভুক্ত ও ভাতাপ্রাপ্ত প্রকৃত মুকিতযোদ্ধাদের অ-মুক্তিযোদ্ধা অভিহিত করে হেনস্তা করার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের কাছে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানালেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ২ শতাদিক মুক্তিযোদ্ধা। ৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধারা বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে অবস্থান নেন রাজধানীর কাকরাইলের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অফিসের (জামুকায়) সামনে। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর সাথে উঠান বৈঠক করে প্রতিবাদ জানান তারা।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর জামুকার অফিসে বৈঠক করেন সোনারগাঁ থেকে আগত মুক্তিযুদ্ধা প্রতিনিধি দল। এ দলে নেতৃত্ব দেন সোনারগাঁ থানার মুকিতযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার মোহাম্মদ আলী চেয়ারম্যান।
জামুকার সামনে আগত মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেছেন, ২০১৭ সালের ১৬৩ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অমুক্তিযোদ্ধা অভিহিত জামুকায় অভিযোগ করে চলেছে একই সংঘবদ্ধ চিহ্নিত চাাঁবাজ ও দালাল চক্র। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৭ সদস্য বাছাই কমিটি অভিযোগের ভিত্তিতে ১৬৩ জন মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করেন। পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের নেতৃত্বে কমিটিতে ছিলেন সদস্য সচিব হিসেবে সোনারগাঁ উপজেলার ইএনও শাহীনুর ইসলাম। বিিটর অন্যান্য সদস্যরা হলেন – জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) প্রতিনিধি, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিনিধি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাউন্সিল প্রতিনিধি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাউন্সিল এর প্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি।
কমিটির সদস্যদের সামনে যেসব মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল তাদের স্বশরীরে হাজির করে, ৭১ এর রণাঙ্গনের বিভিন্ন প্রশ্নত্তোরপূর্বক মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। কমিটি অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা), জেলা প্রশাসক ও ইউএনও অফিসে। সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র অত্র কার্যালয়ে রক্ষিত আছে। বাছাইয়ে প্রমানিত হয়, যাদের অমুক্তিযোদ্ধা বলা হয়েছে, তারা ভারতীয় তালিকাভূক্ত, লাল মুক্তিবার্তায় অন্তর্ভুক্ত, বেসরকারি গেজেট ও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। এখন আবার তাদের নামেই ১০ জন, আবার কখনও ৯ জন, আবার কখনও ১৫ জন করে জামুকা থেকে আবারও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপস্থিত হওয়ার নোটিশ ইস্যু করা হয় জামুকা অফিস থেকে। এক শ্রেনির চাঁদাবাজ ও দালাল মুক্তিযোদ্ধা জামুকা অফিসের এক শ্রেনীর দুর্নীতিবাজ, অসৎ কর্মকর্তার সহায়তায় বাছাই হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নামে জামুকা অফিস থেকে নোটিশ ইস্যু করিয়ে বিরাট অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। এর প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাতে সোনারগাঁ থেকে এসেছিলেন দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা।