নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত লিংকন ) : মুসলিম উম্মাহর অন্যতম উৎসব কোরবানির ঈদ। আর এই ঈদকে ঘিরে কোরবানীর পশু কেনাকাটায় থাকে ব্যপক প্রস্তুতী। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এই কোনাকাটাকে সহজ করতে ক্রেতাদের ঘরেই নিয়ে এসেছে হাট। চাইলেই পরিবারের সব সদস্যকে দেখিয়েই কিনতে পারবেন এবারের কোরবানির জন্য পছন্দের পশুটি। এমন সুবিধা নিয়ে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু করেছে আর কে এগ্রো-ফার্ম লি:।
জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত ঢাকেশ্বরী এলাকা। এখানেই গড়ে তোলা হয়েছে আর কে ফার্ম লি: এর গরু প্রস্তুতকারী সুবিশাল আকারের খামার। নিজস্ব জমিতে চাষ করা কাঁচা ঘাঁস ও প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি খড়-ভুসি দিয়ে গরুর পুষ্টি বিবেচনায় লালন পালন করা হচ্ছে এখানকার কোরবানীর পশু। তাছাড়া শত ভাগ হালাল ও প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাস্থ্যসম্মত গরু তৈরি করায়, ব্যপক চাহিদা বেড়েছে বিভিন্নস্থান থেকে আগত ক্রেতাদের।
এ বিষয়ে কথা হয় সানারপাড় এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা নামে এক ক্রেতার সাথে তিনি জানায়, গত বছরেও আর কে এগ্রো র্ফাম থেকে কোরবানির গরু কিনেছিলেন। কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই গরু পৌছে দেয়া হয়েছে তাদের বাসায়। তাছাড়া গরুর খাদ্যে কোন ভেজাল না থাকায় গুরুর গোশত একবোরেই সলিট পেয়েছেন। আর তাই পূণরায় এখান থেকেই গরু কিনতে আগ্রহী এই ক্রেতা।
শুধু তাই নয়, রয়েছে অনলাইনে এবং স্বাস্থবিধি মেনে সরাসরি কোরবানির পশু কেনাকাটায় নানা সুবিধা। ক্রেতারা চাইলেই পাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা করে জবাই করে হোম ডেলিভারির মত ব্যবস্থা। করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। রয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সু ব্যবস্থাও। খামারে প্রবেশকারী প্রতিটি ক্রেতাই জীবানুনাশক ট্যানেল থেকে বের হতেই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রদান করা হচ্ছে সুরক্ষা উপকরণ।
আগত কয়েকজন ক্রেতা জানান, বর্তমানে হাটে ঝুঁকি এড়াতে খামারগুলোতে গিয়ে গরু কিনাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। আর কে এগ্রো ফার্মে এসে পরিবেশটা তাদের খুবই ভালো লেগেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে রয়েছে তাদের অনেক সচেতনতা। তাই প্রবেশ করতেই তাদেরকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানেটাইজার দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এখানে গরু বিক্রয় করা হচ্ছে বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
খামারটিতে ঘুরে দেখা গেছে, খাদ্য হিসেবে গরুকে প্রাকৃতিক উপায় তৈরি খড়-ভুসি ও জমিতে চাষ করা কাঁচা ঘাঁস খায়ানো হচ্ছে। এসব খাবারে নেই কোন কেমিক্যাল বা পশু ফুলানো ফাঁপানোর রসদ। পাশাপাশি প্রতিটি খামার যথেষ্ট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন থাকায় পরিবার সহ আগত ক্রেতাদেরও অধিক আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে কথা হলে আর কে এগ্রো ফার্ম লি: এর ম্যানেজার আব্দুল সামাদ বলেন, এক বছর আগে থেকে এ খামারটিতে শতভাগ হালাল এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনলাইনে এবং খামার থেকে সরাসরি কোরবানির গরু বিক্রিও শুরু হয়েছে। ক্রেতারা বুকিং মানি দিয়ে গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছেন। কোরবানির চারদিন আগে তাদের ঠিকানায় গরু হোম ডেলিভারী দেয়া হবে। আমাদের এখানে ছোট বড় মাপের নানা প্রজাতীর গরু রয়েছে।