নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের দুই মামলায় ন্যায়বিচার পাননি বলে দাবি করেছেন এ দুই মামলার প্রধান আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন। সোমবার ১৬ জানুয়ারী সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন রায় ঘোষণার পর আইনজীবীর মাধ্যমে এ প্রতিক্রিয়া জানান নূর হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন রায় ঘোষণার পর আইনজীবীর মাধ্যমে এ প্রতিক্রিয়া জানান নূর হোসেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের নূর হোসেনের এ প্রতিক্রিয়ার কথা জানান তাঁর আইনজীবী এম এ রশীদ ভূঁইয়া।
আইনজীবী জানান, নূর হোসেন বলেছেন, আদালত দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী এ রায় দিয়েছেন। তাতে তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন নূর হোসেন। সেখান থেকে খালাস পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে দুই মামলায় রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়। মোট ৩৫ আসামির মধ্যে বাকি নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ দুই মামলায় মোট ২৩ আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন- নূর হোসেন, সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া র্যাব -১১-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা, র্যাব সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) পুর্ণেন্দু বালা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বজলুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক ও নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন ও বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমিন, সিপাহি আবু তৈয়ব, নুরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।
এর আগে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এই ২৩ আসামিকে আদালতে আনা হয়।