দায়িত্ব পালনে অনড় কাউন্সিলর খোরশেদ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। একটি হয়রানী মামলায় জেল হাজত ভোগ করে ফিরে এসেই দায়িত্ব পালনে অনড় রয়েছেন। তাছাড়া রাজনৈতিক ইস্যুতেও রয়েছে অসংখ্য মামলা। তবে স্থানীয় সেবাগ্রহীতাদের মাঝে তেমন কোন প্রভাব পড়ে নি বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।

জানা গেছে, কাউন্সিলরের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যক্তিগত সচিব ও টীম খোরশেদের সদস্যরা সেসময়ে তার অনুপস্থিতিতে পালন করেছেন সকল কর্মসূচী। এতে করে সেবা থেকে ওয়ার্ডবাসীর বঞ্চিত হওয়ার কথা থাকলেও বন্ধ থাকেনি কোন কার্যক্রম। ফলে দীর্ঘদিন পর কাউন্সিলরকে কাছে পেয়ে ওয়ার্ডবাসীর মধ্যে দেখা গেছে স্বস্তির নিশ্বাস।

এরই প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর খোরশেদের তত্ত্বাবধায়নে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মাসদাইর কাউন্সিলরের কার্যালয়ে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এসময় নিজে উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন কাউন্সিলর খোরশেদ।

এর আগে ১৩ নং ওয়ার্ডের সকল স্কুলে আলাদা আলাদা দিনে শীক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। কার্যক্রমে বাদ পড়া এবং স্কুলে পড়েনা এবং শিশুদের টিকাদানের জন্য স্কুল কার্যক্রম শেষে কার্যালয়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন জানায়, টিকা কার্যক্রম, টিসিবি পণ্য প্রদান, করোনা রোগীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার ও সাধারণ রোগীদের সেবা প্রদানে কাউন্সিলরের সচিব ও টীম খোরশেদের সদস্যরা ক্রমাগ্রত সেবা দিয়ে পাশে ছিল। দীর্ঘদিন পরে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রমে তাকে উপস্থিত হতে দেখে খুব ভালো লাগছে। সকলের সাথে কুশল বিনিময় এবং খোঁজ খবরও নিয়েছেন।

এসময় কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, আামার সকল কাজের জন্য সচিব এবং টীম খোরশেদের সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। আমার আঁকা ছক অনুযায়ী ওয়ার্ডবাসীর সেবায় সকল কর্মসূচী সম্পন্ন করার চেষ্টা থাকে। ইতমধ্যে আমার ওয়ার্ডে প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে । শিশুদের টিকাদান কার্যক্রমে আমরা ওয়ার্ডের সকল স্কুল, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা দিয়েছি। এখন যারা বাদ পড়েছে এবং স্কুলে পড়েনা এমন বাচ্চাদের কার্যালয়ে টিকা দিচ্ছি। কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শীক্ষার্থীদের নিয়ে এসে ও বাচ্চাদের এনে ভ্যাকসিন দেয়াচ্ছেন অভিভাবকরা। আমরা ভ্যাকসিন নিতে মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার করেছি। আশা করছি ওয়ার্ডের শতভাগ ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় আসবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত