নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে। ৪ঠা ডিসেম্বর রবিবার সকাল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রকল্পের কাজ শেষ হতে অন্তত তিন থেকে সাড়ে তিন মাস লাগবে।
এদিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় প্রথমদিনেই এই রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই ট্রেন চলাচল বন্ধের আগাম খবর না পাওয়ায় স্টেশনে এসেও বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে। ফলে নারায়ণগঞ্জ থেকে যাত্রীদের বাধ্য হয়ে বাসে করে ঢাকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে গেন্ডারিয়া অংশে ৩টি পৃথক রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী সব ট্রেন চলাচল ৪ ডিসেম্বর থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দ্রুত এই লাইনে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
ট্রেন চলাচল কত দিন বন্ধ থাকবে, তা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়নি। তবে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ কাজ শেষ করতে সাড়ে ৩তিন মাস লাগতে পারে।
রেলওয়ে নারায়ণগঞ্জের স্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর আগে এ রেলপথে প্রতিদিন ১৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করতো। করোনার কারণে তা ৮ জোড়ায় নামিয়ে আনা হয়েছিল। আজ থেকে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হলো। অফিসগামী ও অফিস শেষে ঘরমুখী মানুষ এই ট্রেনগুলোতে বেশি যাতায়াত করেন। এ ক্ষেত্রে ট্রেনের ভাড়া নেওয়া হয় জনপ্রতি ১৫ টাকা।
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বাসের কাউন্টারগুলো শহরের চাষাঢ়ায়। এসব কাউন্টার থেকে যাত্রীরা নন–এসি উৎসব, বন্ধন, হিমাচল, বিআরটিসি এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস শীতল পরিবহনে করে রাজধানীতে যাতায়াত করেন। এর মধ্যে নন–এসি বিআরটিসি বাসের ভাড়া ৫০ টাকা এবং নন–এসি অন্যান্য বাসের ভাড়া ৫৫ টাকা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাসের ভাড়া যাত্রী প্রতি ৮০ টাকা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সোহান সরকার বলেন, ৪ঠা ডিসেম্বর রবিবার থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে সড়কপথে যাত্রীদের কিছুটা চাপ থাকবে। তবে যানজট নিরসনে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি যেন না হয় সেজন্য প্রতিটি পয়েন্টে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় নারায়ণগঞ্জ শহরে যানজট বৃদ্ধির পরিবর্তে আরও কমবে দাবি করে তিনি বলেন, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে যখন ট্রেন চলাচল করছে তখনই রাস্তা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। এখন যেহেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে তাই রাস্তা বন্ধ করার প্রয়োজন হবে না। এর ফলে নারায়ণগঞ্জ শহরে যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারবে। বারবার সিগন্যাল দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে না।