ড্রেনের ময়লা ফুটপাতে, দূর্ভোগে মানুষ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( মোঃ রাব্বী সরকার ) : সকালেই নেমে আসে যেন রাতের অন্ধকার। বইতে শুরু করেছে কালবৈশাখী। সঙ্গে প্রবল বর্ষণ। আর এ টানা বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে একাকার। গতকাল ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিতে ভেসে গেছে শহরতলীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়ি। বাদ পড়েনি শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কটিও। একদিকে পানি আরেকদিকে ড্রেন থেকে তুলে রাখা হয়েছে ময়লা। আর এসব জমে থাকা নোংরা পানি মাড়িয়েই চলতি মানুষ পড়েন ভোগান্তীতে । এতে করে চলাচলে বিঘœ তো ঘটছেই, পাশাপাশি নানা দূর্ঘটনার সম্মূখিন হচ্ছে পথচারীরা।

জানা গেছে, শনিবার বঙ্গবন্ধু সড়কের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। অথচ সেই ময়লাগুলো সড়কের ফুটপাতের উপর ফেলে রাখা হয়েছে। যা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ফুটপাত থেকে ময়লা সরিয়ে নেয়া হয়নি। সারাদিনের থেমে থেমে বৃষ্টিতে এ ময়লার দূর্গন্ধ আরো ছড়িয়ে পড়েছে। এতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এছাড়াও খুলে রাখা হয়েছে ড্রেনের স্লাপগুলোও (ঢাকনা)। অন্যদিকে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে সড়কও।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একজন ভুক্তভোগী জানায়, সড়কের পাশে চকচকে ফুটপাতে হাটাঁচলার জায়গা করা হলেও তার অর্ধেকই এখন ড্রেনের ময়লার স্তুপ দখল করে নিয়েছে। এখানে হাটতে গেলে ময়লা পায়েতো লাগেই কাপড়েও লেগে যায়। এর মধ্যে কিছু অংশ সড়কে তলিয়ে যাওয়া পানির সাথে ফুটপাতে সমান হয়ে যাওয়ায় ড্রেনের খোলা অংশ চোখেও পড়েনা। হাটতে গিয়ে পড়ে যেতে হয় কোমর র্পযন্ত ড্রেনে। যে কারণে এ সড়ক দিয়ে এখন আর স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা যাচ্ছে না।

রুবেল নামের এক ব্যক্তি ক্ষুব্দ কন্ঠে বললেন, এটাকে চলাচলের পথ কিভাবে বলা যায়, যেখানে রয়েছে ময়লার স্তুপ, আর সড়কে রয়েছে নোংরা ময়লা যুক্ত কাদা। এটা কি কখনও স্বাভাবিক চলচলের স্থান হতে পারে? সড়ক আর ফুটপাত এখন ডাস্টবিনে পরিণত হয়ে গেছে!

এদিকে বুদ্ধপূর্ণিমায় সরকারি ছুটি থাকলেও নিম্ন আয়ের মানুষের আনাগোনা ছিল বেশ। বেসরকারী চাকুরিজীবী অনেকেই জীবকিা নির্বাহের তাগিদে অনেকেই ছুটে চলেছে য্ও যার কর্ম ক্ষেত্রে। এছাড়াও বৃষ্টি হওয়াতে প্রধান সড়কেও পানি জমে যায়। এসময় ফুটপাতের উপর অবৈধভাবে একাধিক প্রাইভেট কার পার্ক করে রাখতে দেখা গেছে। যার জন্য র্সবসাধারণের দূর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। অনেকটা বাধ্য হয়েই পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত ছেড়ে সড়কের পানি পাড়িয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহতেশামূল হক এড়িয়ে গিয়ে বলেন, হিরন এগুলোর দায়িত্বে আছে তাকে জিজ্ঞাসা করেন। এরপর সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য বিভাগের প্রধান হিরন জানান, এ কাজগুলি আসলে কন্ট্রাটকটাররা করে। তারা এগুলি সরিয়ে নেয়নি। তবে কালকে বলবো দ্রুত কাজ করো ঠিকআছে, কিন্তু কাজের সাথে এগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। যাতে করে আমার পাবলিকের কোন কষ্ট না হয়। এছাড়া আমি নিজেও পানি পাড়িয়েছি। বৃষ্টির পানিতে সব একাকার হয়ে গেছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত