নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার আগে থেকেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা দেওয়ার বিষয়ে সব উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ২৬শে জানুয়ারি বুধবার জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে টাঙ্গাইল–৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলামের (টিটু) এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বিনামূল্যে কোভিড টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়, যা অব্যাহত রয়েছে।
সরকার প্রধান আরও বলেন, দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় ১৭ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত আট কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ জনকে ১ম ডোজ এবং ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৪ জনকে ২য় ডোজসহ মোট ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮১২ জনকে কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বের মতো দেশের কোভিড–১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড–১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ, বাংলাদেশের সুপারিশ অনুযায়ী এবং করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনের ২য় ডোজ গ্রহণের পর যাদের ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরই বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদেরও এই বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। ১৭ই জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৬৫ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সুত্র : রাইজিংবিডি.কম।