জেলা পুলিশ সুপার প্লিজ আনিসকে থামান : বন্দরের ভূক্তভোগী মহল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্লিজ আনিস কে থামান তা না হলে আপনার ইজ্জত সম্মানের বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে সে। উল্লেখিত ফরিয়াদটি বৃহত্তর বন্দর এলাকার ভূক্তভোগী মহলের। জামাত শিবিরের ক্যাডার র‌্যাব-পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী হাফেজ আনিছ আতংকে ভীত হয়ে পড়েছে বৃহত্তর বন্দরবাসী। বন্দর থানাধীন সাবদি আইছতলা এলাকার হাজী আমিন উদ্দিন মিয়ার ছেলে বিএনপির নেতা মহিউদ্দিন শিশিরের ছোট ভাই ও জামাত শিবিরের ক্যাডার হাফেজ আনিছের অত্যাচারে অতিষ্ট।

স্থানীয়রা জনায়, জেলা পুলিশ সুপার এর নাম ব্যবহার করে বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজিসহ সাধারন মানুষকে প্রশাসনের লোকদের দিয়ে হয়রানি করাচ্ছে। আনিছের ভয়ে এলাকায় কেউ প্রতিবাদ করেনা। যদি কেউ প্রতিবাদ করতে আসে তাকে প্রশাসন দিয়ে গ্রেফতার করায় এবং বাড়িতে অস্ত্র, মাদক রেখে র‌্যাব দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে পরে আর্থিক সুবিধা আদায় করে।

সম্প্রতি বন্দর কলাবাগ গ্রামের জাতীয় পার্টির এক নেতার সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রথমে বাক বিতন্ডা ও পরে এক পর্যায়ে হাতা হাতির ঘটনা ঘটে হাফেজ আনিছের  সাথে । সেই সূত্রে জাতীয় পার্টির নেতা শাহ আলমকে ঘায়েল করতে তার বাড়িতে অস্ত্র, বোমা রেখে রাত ২ টায় র‌্যাব দিয়ে বাড়িতে হানা দেয়ায় এই আনিছ।

এ ঘটনার পর এলাকাবাসী জানায়, হাফেজ আনিছ তার বড় ভাই বিএনপির নেতা মহিউদ্দিন শিশিরের সাথে পারিবারিকভাবে দ্বন্দ হয়। আনিছের ছোট ভাই মানিক বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে র‌্যাবের সিওকে দিয়ে বাসা থেকে ধরিয়ে এনে ২ হাতের ৫টি আঙ্গুল কেটে দেয় এবং এক পর্যায়ে মেরে ফেলার জন্য শরীরে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বন্দর কাইক্কারটেক ব্রিজ থেকে নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর পরই র‌্যাবের ঐ সিও ৭ খুন মামলার ঘটনায় গ্রেফতার হয় বর্তমানে সে ফাঁসির আসামী হিসেবে কারা ভোগ করছে।

এরপর কালাগাছিয়া ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধাণ এর ভাতিজা আরমানের সাথেও ড্রেজারের বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ হয়। তখন হাফেজ আনিছ ড্রেজারে চাঁদা চাইতে গেলে আরমান আনিছকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং তার সাথে থাকা চাপাতি ছিনিয়ে নেয়। বেশ কিছুদিন পর আরমানের বাড়িতে অস্ত্র, রামদা রেখে র‌্যাব দিয়ে ধরিয়ে দেয় এই আনিছ।

স্থানীয় সুত্রে আরও জানা যায়, আনিছের প্রধাণ সহযোগী পারভেজ ও শামীম  এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদকের রমরমা ব্যবসা করে আসছে। হাফেজ আনিছ মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের চাদা আদায় করতেন। হাজরাদী এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাট বিপ্লবের কাছ থেকে প্রশাসনকে ম্যানেজের জন্য প্রতি মাসে মোটা অংকের মাসোহারা আদায় করতো। বন্দর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস লাইন দিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে। আনিছের অনুমতি ব্যতিত এলাকায় কেউ গ্যাস লাইন সংযোগ স্থাপন করতে পারে না। সাবদি, দিঘলদী, টান সাবদি, মাধবপাশা, সেলসারদি, আদমপুর, জিওধরা এলাকা এখন আনিছের নিয়ন্ত্রনে । এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসী জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত