নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ রিফাত আল রহমান ) : আল বিদা মাহে রমজান, আল বিদা। আজ ২৪শে রমজান, ৭ই মে শুক্রবার পবিত্র জুমাতুল বিদা দিন ছিলো। আলবিদা রমজানুল করীম জুম্মাতে মহামারি করোনার কারণে সংক্রমণ রোধে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অধিকাংশ মুসলমানই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতনতার সাথে আজ জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন। জুম্মার নামাজ শেষে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি কামনা অশ্রু বানে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
এই বছরের মাহে রমজানের শেষ জুম্মা। তাই নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রতিটি মসজিদেই ছিলো ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। অনেকেই রমজানের এই শেষ জুম্মাকে অত্যধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। সারা বছরের জুম্মার নামাজ আদায় না করলেও আজকের এই দিনে অনেকেই দেখা যায় মসজিদে এসেছেন। প্রতিটি মসজিদে রমজানের এই শেষ জুমায় কোন জায়গা খালি ছিল না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি এবং মানুষের জীবন আরও কল্যাণময় হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে রমজানের জুমাতুল বিদা (শেষ জুম্মা)।
এদিকে অনেকে মসজিদে জায়গা না পেয়ে আশেপাশের অলিগলি সহ সড়কেই জুম্মার নামাজ আদায় করেন। পবিত্র মাহে রমজান মাসের রহমত, মাগফিরাত এর মত নিয়ামত অতিবাহীত হয়ে নাজাতের মাঝামাঝি সময়ে আজ ২৪শে রমজান জুমাতুল বিদার জুম্মার নামাজ সম্পন্ন হল।
মসজিদে রমজান মাসের শেষ জুম্মার খুতবায় ঈদ-উল ফিতরের যাকাত, ফিতরা নিয়ে ও মাহে রমজানের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ খুতবাহ পাঠ করা হয়। নামাজ শেষে মুসুল্লিরা করোনা মহামারি থেকে মুক্তি ও মৃত, অসুস্থ ব্যাক্তি সহ দেশ, জাতি ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এতে ধর্মপ্রাণ মুমিন মুসল্লিদের চোখ ডেকেছে অশ্রুর বান। আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে প্রার্থনা করেছে এই বরকতময় রমজানকে উসিলা করে যেন সকল মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ মাফ করে দেন (আমিন)।
সকল মুসল্লিদের আফসুস হায় চলে গেল রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এই মাস ছিল কবরবাসীদের সকল আজাব থেকে মুক্তির মাস। আল বিদা মাহে রমজান আল বিদা। মাহে রমজানের শেষ জুম্মা অতীব গুরুত্বময় ও মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। এ দিন গুনাহ মাফ ও নাজাতের জন্য কান্নাকাটির দিন। এ জন্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সমবেত হন মসজিদে। আল্লাহর কাছে দু হাত তুলে রোনাজারি করে নিজেদের কবর আজাব ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কাঁদেন আল্লাহর দরবারে।
জুম্মার নামাজ পড়ে আল-আমিন হাসান নামে এক মুসল্লি জানান, জুমাতুল বিদার নামাজের পর মোনাজাতে দেশ ও জাতির সুরক্ষা কামনা করে মোনাজাত করা হয়েছে। করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় উপমহাদেশে জুমাতুল বিদা বিশেষ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করার রীতি প্রচলিত আছে। মূলত, রমজানুল মুবারকের শেষ যে জুম্মাটি থাকে সেটিকেই জুমাতুল বিদা বলে আখ্যায়িত করা হয়। এই দিনকে কেন্দ্র করে বিশেষ দোয়া, মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।