নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেছেন, মূলত মসজিদের নিচের গ্যাসের লাইনের অসংখ্য লিকেজ থেকে বের হওয়া গ্যাসের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাছাড়া জানালা ও থাই গ্লাস লাগিয়ে বন্ধ রাখায় এসি চলাকালীন সময়ে লিকেজ থাকা গ্যাস এসির ভিতরেও মজুদ ছিল। এভাবেই গ্যাস বের হতে হতে হটাৎ কোন একটির স্পার্ক থেকেই এসিগুলোর সামনের অংশে গলে যায় ও ছিটকে যায়। ৪ঠা সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত পৌনে ১২ টায় প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের এই র্কমকর্তা ।
আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আমরা এখানে এসে প্রথমেই ধারণা করি এসিগুলো বিস্ফোরণের সাথে বৈদ্যুতিক কারণের সংশ্লিষ্টটা কম। পরে মেঝেতে থাকা পানিতে গ্যাসের বুদবুদ উঠায় সন্দেহ হয়। এরপর দেখা যায়, মসজিদের নিচে দিয়ে তিতাস গ্যাসের অনেকগুলো লাইন গেছে। লাইনের পাইপগুলোর প্রতিটিতে একাধিক লিকেজ রয়েছে। সেই লিকেজের গ্যাস সম সময় মসজিদে উঠতো। নামাজের আগে থেকেই মসজিদ বন্ধ করে এসিগুলো চালু করার ফলে পুরো রুমেই এসি ও গ্যাস মিশে যায়। আর গ্যাসের ধর্মই হলো বিস্ফোরণের অবস্থা তৈরী হলে বা কোন আগুনের সংশ্লিষ্টরা পেলে এরা বিস্ফোরিত হয় বা জ্বলে উঠে। সেই সুত্রমতেই কোন একটি বিস্ফোরণ কারণে এটি বিস্ফোরিত হয়। সেই সাথে এসিগুলো বিস্ফোরিত হয় কারণ এসিতেও গ্যাস রয়েছে।
আমরা ধারণা করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা দ্রুত এখানে এসে আমাদের ধারণাকে নিশ্চিত করে। তারা জানান, গ্যাসের লাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে।
আমরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছি এবং কিভাবে এই লিকেজ বন্ধ করা যায় এবং আর যেন এ ঘটনা না ঘটে তা খতিয়ে দেখছি। পাশাপাশি অগ্নিকান্ডের সাথে গ্যাস ব্যতিত অন্য কোন সুত্র রয়েছে কিনা তাও দেখছি। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্যাসের পাইপগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।