গণপ্রকৌশল দিবস ও আইডিইবির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( মাহাদী, কুষ্টিয়া ) : ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স (আইডিইবি) বাংলাদেশ কুষ্টিয়া জেলা শাখার উদ্যোগে গণপ্রকৌশল দিবস ও আইডিইবির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে শহরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বর্নাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র আনোয়ার আলী। এ সময় বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মো: নুরুজ্জামান, প্রকৌশলী ইনষ্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। প্রধান অতিথি কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান এবং বিশেষ অতিথি পৌর মেয়র আনোয়ার আলী প্রথমে বেলুন উড়িয়ে এবং পরে পায়রা উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালির শুভ উদ্বোধন করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, যে শিক্ষা হাতে কলমের মাধ্যমে শিখে শিক্ষার্থী তার বাস্তব জীবনে কাজে লাগিয়ে কোনো একটি সুনির্দিষ্ট পেশাকে বেছে নিতে পারেন সেটাই কারিগরি শিক্ষা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষার অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। প্রতিযোগিতাপূর্ণ বর্তমান বিশ্বে যোগ্য ও কর্মদক্ষ হয়ে গড়ে ওঠার কোন বিকল্প নেই। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মো: নুরুজ্জামান বলেন, কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের পর শিক্ষার্থী নিজেই অর্জিত শিক্ষার সাথে মিল রেখে স্বাধীনভাবে পেশা খুঁজে নিতে পারেন। সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে সেটা সহজলভ্য নয়। কারিগরি শিক্ষা দিতে পারে নিরাপদ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তাও সম্ভব। (আইডিইবি) কুষ্টিয়া জেলা শাখার মিজানুর রহমান মিজান তারা বক্তব্যে বলেন, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এবং দারিদ্র বিমোচনে লাগসই প্রযুক্তি শান্তির দ্বার উন্মোচন করে প্রযুক্তিতে গণ মানুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করতে মুখ্য ভুমিকা পালন করবে আইডিইবি। পরে ‘বাস্তবায়নে আপনার সানুগ্রহ সহযোগিতা কামনা করছি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউিট থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পৌরসভার বিজয় উল্লাসে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় ৮টি বে সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও টিচার্চ ট্রেনিং কলেজের (টিটিসি) শিক্ষক, ১টি সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সহ¯্রাধীক ছাত্র-ছাত্রী এবং জেলার সমস্ত সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও সকল সদস্য প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত