করোনায় পেছাতে পারে এইচএসসি পরীক্ষা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষাও পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। আগামী রবিবার অথবা সোমবারের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া না হওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দেশের একাধিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এমন আভাসই দিয়েছেন। এর আগে ১৬ মার্চ করোনা ভাইরাস সতর্কতায় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।

তবে এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ওই দিন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এইচএসসি পরীক্ষা ঠিক সময়ে হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ দূরত্বে রাখতে এক বেঞ্চ পর পর সিট প্ল্যান করা হতে পারে।

শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা জানান, এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলেও বাস্তবে পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার মতো অবস্থা এখন নেই। এ অভিমত তারা এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন।

বোর্ড চেয়ারম্যানদের এমন মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা বাতিল হওয়া পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ারই ইঙ্গিত বলে জানান তারা।

পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানান, অনেকটা তাই। তবে এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী রবিবার বা সোমবারের মধ্যে আমরা সংশ্নিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেব।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মজিদুল ইসলাম বলেন, এখনও ফাইনাল সিদ্ধান্ত না হলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা কম।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও আতঙ্কে আছেন। সরকার সভা সমাবেশ এড়িয়ে চলার সতর্কতা জারি করায় এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে গত সোমবার ঢাকা ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীন সব পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবদের সভা ডাকা হলেও স্থগিত করা হয় তা।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোকবুল হোসেন বলেন, প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ কেন্দ্র সচিবকে নিয়ে এ সভা করতে হয়। এ মুহূর্তে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম আমরা সঠিক মনে করিনি। তাই সভা না করে সব নির্দেশনা বোর্ডের ওয়েব সাইটে দেওয়া হয়েছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেন বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরীক্ষা বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও না হলেও দু-একদিন অপেক্ষা করুন। সবই জানতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ এপ্রিল বাংলা (অবশ্যিক) প্রথমপত্র দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৪ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা হওয়ার কথা। এরপর ৫ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৩ মে পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।

সূত্র : যুগান্তর।

add-content

আরও খবর

পঠিত