নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রুপগঞ্জ সংবাদ দাতা ) : মহামারি করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে গত ১৪ই এপ্রিল থেকে আগামী ২১ই এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করা সত্বেও ১৮ই এপ্রিল রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভ‚লতা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস-লেগুনায় মানুষকে চলাচল করতে দেখা যায়। তাও কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায়।
এ সময় লেগুনা ও বাস হেলপারদের ডাকাডাকি এই কাঁচপুর যাইবনি কাঁচপুর। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বরাবরের মতো উদাসীন। রাস্তায় যেসব বাস-লেগুনা চলতে দেখা গেছে চালক এবং তাদের সহকারীর মুখে কোন মাস্ক পরিধান করতে দেখা যায়নি। এছাড়া এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে না মেনে রাস্তা-ঘাটে দেখা যায় সাধারন মানুষের চলাচল। অথচ কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ র্যাব পুলিশের বিশেষ টহল।
এ সময় লকডাউনের আওতায় থাকা বাস ও লেগুনা চালকরা জানান, এটা কেমন লকডাউন ? সব অফিস আদালত খোলা, শুধু শুধু বাস-লেগুনায় লকডাউন। রাস্তায় পুলিশ না থাকলে কেউই লকডাউন মানতো না। করোনার ঝুঁকি থাকলেও জীবন বাঁচাতে এছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।
এদিকে এ সময় রিকশা চালক মনির হোনে বলেন, সবাই তো কাজ করে খায়। লকডাউন কয়জনে মানে ? লকডাউনে গরীবদের কষ্ট ছাড়া আর কিছু না। কবির নামে এক লেগুনা যাত্রী বলেন, আজ রাস্তায় লেগুনা চলায় আশা করি একটু তাড়াতাড়ি কাজে যেতে পারবো। এই লকডাউনে বেশি ভাড়া দিয়েও গাড়ি পাই না। গত ৩দিন কাজে যেতে অনেক কষ্ট হয়েছে।