নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি) : নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের জাতীয়পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে ঘিরে একটি নামফলক ভাঙ্গার ইস্যু নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কু-চক্রি মহল। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে নাম পরিচয়হীন সূত্রের উদ্বৃতিতে সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয়পাটি।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ্ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন এবং জেলা জাতীয় পার্টির নেতা শাহ্ মো. হানিফ যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখিত খবরে প্রকাশিত ও প্রচারিত তথ্য এবং বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা ও চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন কে নিয়ে যে অপপ্রচার হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসুত। প্রকাশিত ওই বক্তব্যের মধ্যে সামান্যতম সত্যও নেই। সোনারগাঁ জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবকদের মাঝে করোনাকালে শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। ওই বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করতে ১৭ নভেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া, কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার মনি, কাউন্সিলর দুলাল মিয়া, বিদ্যালয় গভর্ণিং বডির সদস্য মোহাম্মদ আলী, সোনারগাঁ পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি এম.এ জামান, শিক্ষানুরাগী আলেয়া আক্তারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রকৃতপক্ষে, বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বলেন- আমি চাই এ অসন্তোষ দূর করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক। সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন পরিশোধ করেছেন। তারপরেও যদি কোন বেতনে অর্থের প্রয়োজন হয়, সেটা আমি দেখবো। তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন এবং সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। বৈঠক শেষে এমপি খোকা নেতৃবৃন্দেরকে নিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে জানা যায়- অজ্ঞাত কোন দুষ্কৃতকারী বিদ্যালয়ের গেইটে লাগানো নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামে লাগানো নামফলকটি ভেঙ্গে ফেলে, যার সঙ্গে সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার সামান্যতমও সম্পৃক্ততা নাই। আমরা এমন ঘৃন্য ও ন্যাক্করজনক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, লিয়াকত হোসেন খোকার উপানুষ্ঠানিক পত্রের আলোকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষেদের অর্থায়নে সোনারগাঁ উপজেলায় ইতিপূর্বেও বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে এবং সকল স্থানেই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নামের ফলক ব্যবহার করা হয়েছে। উক্ত বিষয়ে লিয়াকত হোসেন খোকা কখনও বিরুপ মন্তব্য করেননি। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার কোন দ্বন্দ্ব নেই। করোনাকালীন সময়ে যখন অনেকেই দুই একদিন অসহায় মানুষকে কয়েক প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে ঘরের কোনে লুকিয়ে পড়েছিলেন, তখনও এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা মাসের পর মাস সোনারগাঁয়ের অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হাজির হয়েছিলেন, নিজের সাধ্যানুসারে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। তিনি সোনারগাঁয়ের উন্নয়নে বিশ্বাসী। পরিকল্পিতভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আনোয়ার হোসেনের সম্মান ক্ষুন্ন করতে এবং রাজনৈতিকভাবে মাননীয় সংসদ সদস্যের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে উদ্দেশ্যেপ্রনোদিত ভাবে স্থানীয় একটি চক্র ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।
বিবৃতিতে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি নেতাদের দাবী, সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার নামে মিথ্যা, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রকাশ করা হলেও তার উন্নয়ন কর্মকান্ডের কোন বিবরণ খবরে উল্লেখ নেই।