নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : এক গ্রামে এক বিচক্ষন পিতা ছিল। তার দুটি সন্তান ছিল। ঐ পিতা জীবনের সাথে অনেক সংগ্রাম করে অনেক নাম ডাক অর্জন এবং জমিদারী পেল। পিতার শত্রুরা তাকে নি:শেষ করার জন্য তার সন্তানদের মধ্যে কুপ্ররোচনা দিতে শুরু করলো। একপর্যায়ে তার ছোট সন্তানকে বসে আনতে সক্ষম হলো। শত্রুরা তার ছোট সন্তানকে জমিদারী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে পিতাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করলো।
একদিন তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলো। পিতার বড় সন্তান বাড়ীতে না থাকার সুযোগে পিতাকে মেরে ফেললো শত্রুরা। বড় সন্তান বাড়ীতে ফিরে এসে তার পিতার হত্যার সংবাদ শুনে ভেঙ্গে পরলো। পিতার হত্যার বিচার চেয়ে ধারে ধারে ঘুরে বেড়ালো কিন্তু কোন লাভ হলো না। ছোট সন্তান শত্রুদের সাথে জোট বেধে জমিদারী ভোগে মত্ত হয়ে গেল। বড় সন্তান বিচার না পেয়ে আল্লাহর নিকট বিচার চেয়ে শক্তি ও সাহস পাওয়ার প্রার্থনা করতে করতে দীর্ঘদিন কেটে যায়।
ছোট সন্তান ও শত্রুদের জুলুম আর অত্যাচারে নিরীহ চাষীরা বিদ্রোহ করলো এবং বড় সন্তানকে জমিদারী করার জন্য পন করলো। নিরীহ চাষীদের আর্তনাদ ও বড় সন্তানের প্রার্থনা আল্লাহ কবুল করলেন। নিরীহ চাষীদের চাপে ও বিদ্রোহে একদিন বড় সন্তান বিজয় লাভ করে জমিদার হলেন। এবার শত্রুরা ও ছোট সন্তান মিলে বড় সন্তানকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করার জন্য অনেকবার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। কথায় আছে – রাখে আল্লাহ মারে কে-। হয়তো নিরীহ চাষীদের ও বড় সন্তানের প্রার্থনাকে আল্লাহ কবুল করেছেন। আর না হয় নিহত পিতার বিদেহী আত্মার আর্তনাদ আল্লাহ কবুল করেছেন। কিন্তু বিধিবাম বড় সন্তানটি সহজ সরল এবং ক্ষমাশীল হওয়ায় চক্রান্ত করে পুনরায় জমিদারী ছিনিয়ে নিল ছোট ছেলে ও শত্রুরা। জমিদারী ছিনিয়ে নিয়ে বড় সন্তানের সমর্থিত চাষীদের একে একে হত্যা করতে শুরু করলো।
এক পর্যায়ে বড় সন্তান ও তার সমর্থকদেরকে এক সাথে নিশ্চিহৃ করতে হায়ার করা গুন্ডা বাহিনী দিয়ে বোম মেরে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করলো। কিন্তু আল্লাহর খেলা বুঝা বড় দায়। অতীতের নবী রাসুলদেরকে যেভাবে আল্লাহ তাদের শত্রুদের হাত থেকে কুদরতীভাবে বাঁচিয়েছেন ঠিক সেই ভাবে বড় সন্তানকে ছোট সন্তান ও শত্রুদের হাত থেকে বাঁচালেন।
পুনরায় বড় সন্তানকে নিরীহ চাষীরা জোট বেধে জমিদার বানালেন। এবার পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবং আল্লাহর সাহায্যে নিরীহ চাষীদের সাথে নিয়ে জমিদারী প্রথার নিয়মের মাধ্যমে তার পিতার হত্যার বিচার করলেন। ইহাতে আপামর চাষীরা খুশি হলেন এবং বড় সন্তানের হাতকে আরো শক্তিশালী করলেন। যাতে করে পুনরায় ঐ ছোট সন্তান ও শত্রুরা জমিদারী না পায়। যেই কথা সেই কাজ। সাথেই থাকুন চলবে।
লেখক : গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম।