নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আড়াইহাজার প্রতিনিধি ) : আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ পাশ্ববর্তী জেলা মাধবদী থানাধীন সীমান্তবর্তী এলাকা চৌগরিয়ায় বৃহম্পতিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিন্দু বিশ্বাসে দেবী সরস্বতী বিদ্যা, বাণী আর সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শুভ্র রাজহংসে চেপে দেবী সরস্বতী আসেন জগতে। এ বছর পূজার তিথি পড়েছে দুই দিন। বৃহম্পতিবার অপরাহ্ন ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চলে। সকাল সাড়ে ৭টায় ছিল নিত্যপূজা ও দধিকর্ম। সনাতন ধর্মীয় রীতিতে প্রত্যুষে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর ও চন্দন দিয়ে স্নান করানো হয়।
এরপর চরণামৃত নেন ভক্তরা। তাদের বিশ্বাস, দেবী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে। শীতল ষষ্ঠীতে শিশুদের হাতেখড়ি, ব্রাহ্মণভোজন ও পিতৃতর্পণের প্রথা প্রচলিত আছে। সন্ধ্যা ৭টায় ভক্তিমূলক গান পরিবেশ করা হয়। সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও সরস্বতী পূজা বর্তমান রূপটি আধুনিককালে প্রচলিত হয়েছে। প্রাচীনকালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতীসদৃশ্য দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পাঠশালায় প্রতি মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে ধোয়া চৌকির ওপর তালপাতার তাড়ি ও দোয়াত-কলম রেখে পূজা করার প্রথা ছিল। শ্রীপঞ্চমী তিথিতে ছাত্রেরা বাড়িতে বাংলা বা সংস্কৃত গ্রন্থ, দোয়াত ও কলমে সরস্বতী পূজা করত।
আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিসার ডাক্তার উত্তম দাশ গুপ্ত বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পূজা সম্পন্ন হয়েছে। দেবী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে। শীতল ষষ্ঠীতে শিশুদের হাতেখড়ি, ব্রাহ্মণভোজন ও পিতৃতর্পণের প্রথা প্রচলিত আছে।