আড়াইহাজারে জয়িতা অন্তরার প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতায় স্বাবলম্বি শতাধিক নারী

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আড়াইহাজার প্রতিনিধি) : আড়াইহাজারে অন্তরার প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতায় প্রায় শতাধিক অবহেলিত নারী এখন স্বাবলম্বি হয়েছেন। এক সময় এসব নারীদের পরিবারে অভাব অনটন থাকলেও এখন তাদের আর্থিক সহযোগিতায় অভাব দূর হয়েছে। তিনি আগামী দিনেও সমাজ উন্নয়নে নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে নিজেকে আরো বেশি করে সম্পৃক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এ বছর জাতীয় রোকেয়া দিবসে সমাজ উন্নয়নে সেরা জয়িতার পুরস্কার পেয়েছেন অন্তরা।

৯ ডিসেম্বর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় রোকেয়া দিবসে তাকে একটি ক্যাটাগরিতে সেরা জয়িতার পুরুস্কার প্রদান করা হয়। তিনি স্থানীয় উচিৎপুরা ইউপির বাড়ৈপাড়া এলাকার নুর মুহাম্মদ খোকন মিয়ার স্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। ২০১৬ সালে তিনি অবহেলিত বঞ্চিত নারীদের ভাগ্যউন্নয়নে কাজ করে আসছেন। তিনি ৩০ জন নারীর অংশ গ্রহণে একটি সমিতি গঠন করেছে। তাতে স্বল্প পূজি বিনিয়োগ করে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় তার প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনের সদস্যরা নারীদের ওয়ালমেট, নকশী কাঁথাসহ বিভিন্ন কারুশিল্পের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন। এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এরই মধ্যে প্রায় শতাধিক নারী স্বাবলম্বি হয়েছেন।

মঙ্গলবার অন্তরা বলেন, জয়িতা পুরুস্কার আমার এগিয়ে চলার পদ আরো বেশি সুগম করে দেবে। আমি অবহেলিত নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। যে সব ছেলে মেয়ে অর্থের অভাবে লেখাপড়া করতে পারছিল না। আমি তাদের আমার সাধ্যমত সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্য আরো বেশি করে কাজ করে যাচ্ছি। এলাকায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করার ক্ষেত্রেও কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও আমি স্থানীয় মাদ্রসায় এতিমখানার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি। দরিদ্র্য পরিবারের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

এদিকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বলেন, অসহায় নারীদের ভাগ্য বদল ও উদ্যাক্তা তৈরিতে জয়িতা পুরস্কার অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমাদের প্রচেষ্ঠায় ও সহযোগিতায় নারীরা আগের তুলনায় অনেক বেশি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে সমাজ উন্নয়নে একটি ক্যাটাগরিতে অন্তরাকে সেরা জয়িতার পুরুস্কার প্রদান করা হয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত