অবৈধ প্রন্থায় মজিবুর ও শোখনের ঝাটকা ব্যবসা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের পাঁচ নাম্বার ঘাট এলাকায় ঝাটকা ইলিশের ছয়লাভ, হাত বাড়ালেই মিলে ঝাটকা ইলিশ। সরকারীভাবে ঝাটকা ইলিশ ধরা ও বিক্রী করা আইনী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা করছেনা মজিবুর ও শোখন। তথ্য সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে এধরনের অসাধু মাছ ব্যাবসায়ী প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবত এ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে উন্মোচিত হয় রাজনৈতিক দলীয় কর্মীর মুখোশ ও বেরিয়ে এসেছে এ অবৈধ ব্যাবসার চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। এ ব্যাবসার সাথে জড়িয়ে রয়েছে অবৈধ মাছ ব্যাবসায়ী ও আড়ালে থাকা রাজনীতিবীদ। এদের মধ্যে অবৈধ মাছ ব্যাবসায়ী হিসেবে পরিচিত মজিবুর। আর অপরজন শোখন যিনি গত বিএনপি সরকার আমলে নারায়ণগঞ্জ শহরে ক্ষমতার ধাপটে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার জাটকা ইলিশ ধরা ও বিক্রী করা উভয়ই অপরাধের শামিল ঘোষনার পরেও এ অসাধু ব্যাবসায়ী দাপটের সাথে চালাচ্ছে অবৈধ প্রন্থায় ঝাটকা ইলিশ মাছের রমরমা  ব্যাবসা।

উল্লেখ্য, ১৪ মার্চ সোমবার সকালে ৫নং ঘাট এলাকায় ঝাটকা ইলিশ বিক্রী হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে লঞ্জঘাট ফাড়ির পুলিশ এক ট্রলারে থাকা ভরা ঝাটকা ইলিশ মাছ আটক করে। এসময় ট্রলারে থাকা প্রায় ৮০০ কেজি ঝাটকা জব্দ করে নেয় লঞ্জঘাট ফাড়ির পুলিশ। কিন্তু এব্যাপারে কাউকে আটক কিংবা মামলা রুজু হয়নি।

সরেজমিনে পাঁচ নাম্বার ঘাটে পরির্দশনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ এর প্রতিবেদককে জানায়, প্রশাসনের নাকের ডগায় নারায়ণগঞ্জ পাঁচ নাম্বার ঘাটে অজ্ঞাত স্থানে ট্রলার ভরা ঝাটকা ইলিশ এনে পাচঁ কেজি ৩০০ টাকা করে অবাধে বিক্রী করে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। এখানে প্রায় সময় মজিবর এবং শোখনের নেতৃত্বে ঝাটকা ইলিশ বেচাকেনা হয়ে থাকে। আজকে এঘটনা নতুন কিছু নয়। এঘটনায় যেন কোন মামলা না হয় এজন্য নারায়ণগঞ্জ লঞ্জঘাট নৌ-ফাড়ির কর্মকতাদের মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে ধামা চাপা দেয় অসাধু ব্যাবসায়ীরা। যদিও আজকের ঘটনা জানাজানি হওয়ায় লঞ্জঘাট ফাড়ির পুলিশ এসে প্রায় ৮০০ কেজি ঝাটকা জব্দ করে নিয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জ পাঁচ নাম্বার ঘাটে অজ্ঞাত স্থান থেকে ২টি ট্রলার ভরা ঝাটকা ইলিশ এনে পাচঁ কেজি ৩০০ টাকা করে অবাধে বিক্রী করে। এর মধ্যে ১টি ট্রলারের থাকা ভরা ঝাটকা ইলিশ সরিয়ে বিক্রী করে ফেলে অসাধু মাছ ব্যাবসায়ী মজিবুর ও শোখনের লোকজন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় যোগাযোগ করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা মালেক মিয়া জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।

অবাধে ঝাটকা ইলিশ বিক্রীর বিষয়ে লঞ্চঘাট ফাড়ির তাহের বলেন, আমরা ঝাটকা ইলিশ বিক্রী সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এক ট্রলারে থাকা প্রায় ৮০০ কেজি ঝাটকা ইলিশ মাছ আটক করে ফাড়িতে নিয়ে আসি। এবং পরে সে মাছ গুলি শহরের বিভিন্ন এতিম খানা, মাদ্রাসা বিতরন করে দেই। কোন আসামী আটক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যেতে চান এবং পরবর্তিতে তিনি শিকার করেন অবৈধ ঝাটকা ইলিশের ব্যাবসার সাথে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত