২ সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যাতায়াত বন্ধ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগামীকাল ২৬ই এপ্রিল সোমবার থেকে ১৪ দিনের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। এই সময় স্থলপথে পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের লোক চলাচল বন্ধ থাকবে। আজ ২৫ই এপ্রিল রবিবার সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আগামীকাল ২৬ই এপ্রিল সোমবার  থেকে ১৪ দিন সীমান্ত বন্ধ থাকবে। ভারতে যেহেতু করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। তাই আমরা চাইছি, ‌স্থলবন্দর ও সীমান্ত থেকে মানুষের যাতায়াত দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখার। এই সময়ে মানুষের যাতায়াত বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী যানবাহন চলবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, এখনি তো ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। তবে ভারতে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ খুব বেশি বেড়ে যাওয়ায় দু্‌ই দেশের মধ্যে যাতায়াত কঠোরভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামীকাল থেকে ১৪ দিনের জন্য এই কঠোর থাকবে। তবে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

এদিকে সোমবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে বিমান চলাচল এর আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে। ভারতে গত তিন দিনেই প্রায় ১০ লাখ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে করোনাভাইরাসের একটি নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে বলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন। ভারতে করোনাভাইরাসের অব্যাহত সংক্রমণের কারণে দুই দেশের সীমান্ত কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। .ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি সীমান্ত রয়েছে।

বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক তথ্য-উপাত্ত মূল্যায়ন করে একদল বিশ্লেষক বলেছেন, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে।

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক তথ্য উপাত্ত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা পদক্ষেপ, ভাইরাসের বিস্তারের ধরন – এমন নানা কিছু বিশ্লেষণ করে বিশ্লেষকদের দলটি যে সম্ভাব্য চিত্র তৈরি করেছে তাতে একথা বলা হয়।

বাংলাদেশের বিশাল সীমান্ত ভারতের সাথে। তাই আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ যতই বন্ধ থাকুক  তাতে সেখানকার ভাইরাস আসবে না এই নিশ্চয়তা নেই বলেন বিশ্লেষক দলটির প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল। তিনি বলছেন, ভারতে এর ব্যাপকভাবে বিস্তার হচ্ছে এবং সেখানে ভাইরাসের ডাবল ভ্যারিয়েন্টের কথা বলা হচ্ছে। ভারতে শনাক্ত করোনাভাইরাসের একটি ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন এখন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন।

তবে এটা এখনও জানা যায়নি যে কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টটি আসলে কতটা ছড়িয়ে পড়েছে, এবং ভারতে এখন সংক্রমণের যে ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ চলছে তার জন্য নতুন শনাক্ত এই করোনাভাইরাসটি কতটা দায়ী।

add-content

আরও খবর

পঠিত