নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে বন্ধুর প্রেমিকা গার্মেন্টসকর্মী শান্তার আত্নহত্যার ঘটনায় ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে ইলিট্রিক মিস্ত্রি সিয়াম(১৬) নামে এ কিশোর আতœহত্যা করেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় থানার বেপারীপাড়া এলাকায় পুণরায় এ আত্নহত্যার ঘটনাটি ঘটে। নিহত সিয়াম ওই এলাকার সাইদুল ইসলাম মিয়ার ভাড়াটিয়া রিক্সাচালক তাজুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তথ্য সুত্রে জানা গেছে,শুক্রবার রাতে বেপারীপাড়া এলাকার মৃত আবদুল হকের মেয়ে আত্নহত্যাকারী গার্মেন্টসকর্মী শান্তার সাথে একই এলাকার দীন ইসলাম মিয়ার ছেলে নাদিমের প্রেমের সর্ম্পক হয়। নাদিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার বন্ধু সিয়ামের সহযোগীতায় শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলে। নাদিম ও শান্তার অজানা মনোমালিন্যের সুত্র ধরে গত শুক্রবার রাতে নাদিম,তার বন্ধু সিয়াম ও নাদিমের স্বজনরা নিহত শান্তাকে গাল মন্দ করে। প্রেমিক ও স্বজনদের অত্যাচার সইতে না পেরে শুক্রবার গভীর রাতে রান্না ঘরের আড়ার সাথে গার্মেন্টস্কর্মী শান্তা আতœহত্যা করে। এর পর থেকেই প্রেমিক নাদিম গা ঢাকা দেয়। এদিকে নাদিমের বন্ধু সিয়াম আত্নহত্যাকারী প্রেমিকা শান্তার আতœ হত্যার ঘটনায় ফেসে যাওয়ার শংকায় দিন কাটাচ্ছিল। এর ধারাবাহিকতায়,রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিয়াম তার মা সিমা বেগমকে বসত ঘর তালা লাগিয়ে কাজ করতে যেতে বলে। তার মা বসত ঘরে ছেলে সিয়ামকে শয়নকক্ষে রেখে বাইরে তালা লাগিয়ে প্রতি দিনের ন্যায় বাড়ীর মালিক সাইদুল ইসলামের বাড়িতে কাজ করতে গেলে বন্ধুর প্রেমিকার আত্নহত্যার ঘটনায় ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে সকলের অজান্তে সিয়াম ঘরের সিলিং ফ্যানের পাখার সাথে ওড়না বেধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে।
ওই সময় প্রতিবেশীরা লাশ ঝুলতে দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠে। পরে খবর পেয়ে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক হামিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহের সুরত হাল করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।