হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদী সিলেবাস বাতিলের দাবীতে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে গণস্বাক্ষর

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বিতর্কিত শিক্ষানীতি  প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন এবং সর্বনাশা হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদী সিলেবাস বাতিলের দাবীতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচিপীর সাহেব চরমোনাই’র আহবানে অনুষ্ঠিত হয়। ২০ জুলাই বুধবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে এই গণস্বাক্ষর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লা, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, প্রশিক্ষন সম্পাদক সামসুল আলিম, সংগঠনের শহর সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. রহমান প্রধান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

মুফতি মাসুম বিল্লা বলেন , হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জীবনী বাদ দিয়ে পড়ানো হচ্ছে রাধা-কৃষ্ণের লীলা-খেলা। খোলাফায়ে রাশেদিনের জীবনী বাদ দিয়ে পড়ানো হচ্ছে কালী পুজা আর পাঠা বলীর কাহিনী। মুসলিম সন্তানদের পড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ রামায়ন। হিন্দুদের দেবী দূর্গার ভক্তি শিখানো হচ্ছে মুসলমানদের সন্তানদের। গল্প-কবিতার মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনের প্রতি বিদ্বেষ তৈরী করা হচ্ছে।

এ সময়ে লিখিত এক বক্তব্যে তারা জানান, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুমোদন লাভের সাথে সাথেই আমাদের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় সর্বনাশা পরিবর্তন চলে আসে। বিশেষ করে সকল শ্রেণীর বাংলা সিলেবাস থেকে মুসলিম ও ইসলামী ভাবধারার সব বিষয় বাদ দেয়া হয়েছে। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জীবনীও বাদ দেয়া হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে ঐতিহাসিক বিদায় হজ্বের ভাষণ, খোলাফায়ে রাশেদার জীবনী এবং মুসলিম শাসকদের স্বর্ণালী ইতিহাস। বাদ দেয়া হয়েছে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের বীর পুরুষ শহীদ তিতুমীরের বিপ্লবী ইতিহাস। এমনিভাবে একে একে বাংলাদেশের অনেক মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের ইসলামী ভাবধারায় রচিত প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতা পাঠ্য বই থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে পাঠ্য বইতে নতুন করে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কীয় বিভিন্ন বিষয়াদী। অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এমন সব প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতা যা আমাদের স্বাধীতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যা আমাদের মুসলিম সমাজ ও সভ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত