নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে র্যাবের বিশেষ অভিযানে মো. কামরুল হাসান ভুইয়া (২৫) ও মোজাহিদ হাসান (২০) নামে দুই জঙ্গী সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২১শে জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় সোনারগাঁও থানাধীন আষাঢ়ের চর এলাকা হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট থেকে মোবাইল ফোন, উগ্রবাদী বই ও উগ্রবাদী লিফলেট জব্দ করা হয়।
২২ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ বার্তাকে র্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি মো. সুমিনুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী মো. কামরুল হাসান ভুইয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে পড়ালেখা করা অবস্থায় জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে এসব পড়ালেখা কে হারাম মনে করে বাড়ি ফিরে আসে ও পুরোপুরিভাবে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। অপর আটককৃত আসামী মোজাহিদ হাসান সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকায় কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে পড়ালেখা করে। দেশে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা করাই এদের চূড়ান্ত লক্ষ্য বলে জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামী মো. কামরুল হাসান ভুইয়ার পিতার নাম মো. ময়নাল হোসেন ভুইয়া আর মোজাহিদ হাসান এর পিতার মো. জাহাঙ্গীর আলম। এদের বাড়ির স্থায়ী ঠিকানা গোপালনগর, পোষ্ট-রামমোহন, থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা বলে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।
র্যাবের ওই কর্মকতা আরো জানান, দেশে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা করাই এদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামী ২ সদস্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলামে যোগদান করে এবং পরবর্তীতে সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা এলাকার মাসুল হিসেবে দায়িত্ব পায়। অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বড় ধরণের নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করে আসছিলো। এছাড়া সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য টেলিগ্রাম আইডি, প্রোটেক্টেড টেক্সট, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ভুয়া ফেইসবুক আইডি, ফেইসবুক গ্রুপ, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি ব্যবহার করে শিক্ষিত ও সমমনা তরুণদের উগ্রবাদী মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশে পাশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকবার স্বশরীরে ও অনলাইনে মিলিত হয়ে জেল হতে আটককৃত সদস্যদের মুক্ত করা, নাস্তিক ব্লগারদের হত্যা, সরকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের হত্যা ও সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরণের নাশকতামূলক কর্মকান্ড করার অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিলো। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।