নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুমের ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাবু সহ অতিরিক্ত মদপানে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে সোনারগাঁ মেঘনা হোলসিম সিমেন্ট কারখানার সামনে চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের ভাই বাবুর ব্যাক্তিগত অফিসে অতিরিক্ত মদপানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন আছেন আরো ৪ জন। ৯ জানুয়ারি শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই তিন জন মারা যান।
নিহতরা হলেন, সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুমের ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাবু (৩২), মেঘনা কাদিরগঞ্জ এলাকার মোক্তার মিয়ার ছেলে মোহসিন (২৩), জৈনপুর গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে তোফাজ্জল (৪০) ও জিসাদ।
এদিকে, এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম রেজা বলেন, মদপানের ঘটনায় রাহিম, হৃদয় সহ আরও ৪ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার রাতে সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা হোলসিম সিমেন্ট কারখানার সামনে ছাত্রলীগ নেতা বাবুর ব্যক্তিগত অফিসে মদের আসর বসানো হয়। এ সময় অতিরিক্ত মদপানে তারা অসুস্থ হয়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মধ্যরাতেই তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, শুক্রবার রাতে বাবুর অফিসে মদের আসর বসানো হয়েছি। যেহেতু তার পরই সবাই অসুস্থ হয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে সবাই অতিরিক্ত মদপান করেছিলেন।
বারবিকিউ পার্টির আয়োজনে বাজি ধরে অতিরিক্ত মদপান করলে তাদের মৃত্যু হয়। তবে নিহতের পরিবারের দাবী খাবারের সাথে বিষক্রিয়ার ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকায় শুক্রবার রাতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুমের ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান, তার গাড়ি চালক তোফাজ্জল হোসেন, মোহসীন মিয়া, জিসাদ, রিফাত, রাহিম, সুমন, সারোয়ার সহ একত্রিত হয়ে কয়েকজন মিলে বাবুর ব্যাক্তিগত অফিসে মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে প্রথমে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শনিবার চিকিসাধীন অবস্থায় জাহিদ হাসান বাবু, তোফাজ্জল ও মোহসীন ও জিসাদ মারা যায়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন, একই এলাকার ইয়াসিনের ছেলে হৃদয়, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকের ছেলে সুমন আহমেদ, শাহাবুদ্দিন প্রধানের ছেলে রিফাত, বাহাউদ্দিনের ছেলে সারোয়ার সহ ৪ জন। এদিকে এমন অকাল মৃত্যুর খবর শুনে স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ঘটনা স্থলে ছুটে যান এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁও থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আমাদের থানার পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা তিন জনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। কীভাবে তারা মারা গেছেন তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।