নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (বিশেষ প্রতিবেদক) : সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা প্রন্থায় গণসংযোগ কর্মসূচী। কেউ কেউ প্রচারণা ক্ষেত্রে কৌশলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করছে। কেউবা আবার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে হাতে নিয়েছে সমাজসেবামূলক নানা কর্মসূচী। তবে এ নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যপক সাড়া দেখা গেলেও লাপাত্তা রয়েছে বিএনপি ও জাতিয়পার্টি।
জানা গেছে, এ নির্বাচনে অংশ নিতে ইতমধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহও করেছিলেন ৬ জন প্রার্থী। তারা হলো, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমর, আলী হায়দার এবং প্রয়াত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ভাই ব্যবসায়ী মনির হোসেন। তবে দলীয় মনোনয়নে নৌকা পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক শামসুল ইসলাম ভূইয়া।
কিন্তু এ নির্বাচনকে ঘিরে কোনরকম আগ্রহ নেই অন্যতম দল বিএনপির। উপজেলার কোন নেতাকর্মীও এ নিয়ে দেখায়নি তেমন কোন আগ্রহ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারনাসহ কারো ব্যাপারে কোথাও কোন গুঞ্জনও শোনা যায়নি।
তবে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির নির্বাহী সদস্য, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, আমরা এ নির্বাচন কেন, আগামী কোন নির্বাচনে যাচ্ছি না। আওয়ামীলীগ সরকার থাকাকালীন কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করবে না। আর সেই নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কোন প্রার্থী দিচ্ছিনা। কেউ হবেও না।এ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে কি আর নির্বাচন হবে? সবাই তো আওয়ামীলীগ। আর নৌকা চায়। যে নৌকা পাইবো, সে ই পাস করবো।
অন্যদিকে বর্তমানে মহাজোটের অন্যতম শরিকদল জাতিয় পার্টি। এ উপজেলার সাংসদও জাতিয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী এবং দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা। তবে এ নির্বাচনকে ঘিরে অনেকটাই লাপাত্তা রয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। যদিও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী হেফাজত নেতা মামুনুল কান্ডে মামলায় জড়িয়ে থাকায় তারা এতোদিন সামনে আসেনি। তবে সম্প্রতি কয়েকজনই জামিন পেয়েছেন। তাদের দাবি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদেরকে মামলায় নাম দিয়ে ফাসিয়ে দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনে অংশগ্রহনের বিষয়ে জাতিয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আবু নাঈম ইকবাল বলেন, শুক্রবার কেন্দ্রে আমাদের মিটিং রয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আমি প্রস্তাাবনা রাখবো। দল যে সিদ্ধান্ত দিবে, সে মতে কাজ করবো। তবে আমরা প্রার্থী দিতে আগ্রহী। উপ-নির্বাচনে সোনারগাঁয়ের জাতিয় পার্টির নেতাকর্মীদের কেউ তো অবশ্যই প্রার্থী হয়ে অংশ গ্রহন করবেন বলেই আমি আশাবাদি। তবে এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তই জানানো হয়নি।
চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুর পর আওমীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিদেরও চলছে দৌড়ঝাঁপ। নেতাদের সকলেই চায় নৌকা প্রতীক। আর দলীয় প্রতীকটি ভাগিয়ে নিতে ইতমধ্যে অনেকেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই মৃত্যু বরণ করেন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। গত ২ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য হয়ে যাওয়ার পরপরই শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থী ও উপ-নির্বাচন নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থী প্রত্যাশীদের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা। এ উপ-নির্বাচনে কারা কারা নির্বাচন করবেন এ নিয়েও এখন জনমনে নানা প্রশ্ন।