নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আদালতপাড়া প্রতিনিধি ) : আনন্দ টিভির নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এবং নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ডটকম এর সম্পাদক সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকনকে হত্যাচেষ্টা সহ ৩ সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার মূল আসামী সোয়াদের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজ্ঞ আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট (ক-অঞ্চল) ফাহমিদা খাতুন এ আদেশ দেন। এরআগে হত্যাচেষ্টা মামলায় একই আদালত সন্ত্রাসী সোয়াদকে একদিনের জন্য পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এদিকে সন্ত্রাসী সোয়াদ জামিনে মুক্তির পর কোন প্রকার হুমকী বা নিজেকে অনিরাপদ ভাবছেন কিনা এমন প্রশ্নে হামলার শিকার সাংবাদিক লিংকন প্রতিবেদককে জানান, এমন এক পেশায় আছি হুমকী তো অব্যাহতই। কিন্তু যে কোন বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়ানোটাও আমাদের কাজ। ওইদিন একটা শিশুকে বাচাঁতে গিয়েই এ ঘটনা। তবে যদি সোয়াদের ভিতরে মনুষত্ব থাকে আর অনুতপ্ত অনুভব করে সেক্ষেত্রে সোয়াদ ভালো পথে ফিরে আসবে। আর যদি আবারো অপরাধ জগতে ফিরে যায় তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে সুযোগ থাকবেনা। কিন্তু সোয়াদকে এই পথে এনে যারা অপরাধী বানিয়েছে। ওরা সোয়াদকে ব্যবহার করতে চায়। তাই সোয়াদকে প্রথম থেকেই ভালো হওয়ার সুযোগ না দিয়ে অন্যায় করতে প্রশ্রয় দিয়ে গেছে। তাই সোয়াদকে সংশোধনে তার শেল্টারদাতাদের আইনের আওতায় এনে আদালতে হাজির করা জরুরী। তাহলে এমন সন্ত্রাসী সোয়াদ আর তৈরি হবে না।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার সোনারগাঁ লোক ও কারু শিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর আগমনীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাচ্ছিলেন সাংবাদিকরা। পথিমধ্যেই শীতলক্ষ্যা নদী পার হতে হাজীগঞ্জ ঘাট থেকে ফেরিতে উঠেন আহত তিন সাংবাদিকসহ স্থানীয় ও জাতীয় গন্যমাধ্যমে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক। ফেরি চালু হবার পর দেখা যায় এক শিশুকে মারধর করছে সন্ত্রাসী সোয়াদ নামের যুবক সহ অন্যান্যরা। তাতে প্রতিবাদ জানিয়ে শিশুটির অভিভাবক কে বিচার দেয়ার পরার্মশ দেন আনন্দ টিভির নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এবং নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ডটকম এর প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন। কিন্তু এতে উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিক লিংকনকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
একপর্যায়ে দস্তাদস্তি হলে আগে থেকেই রক্ষিত করা ধারালো একটি গেতি শারস (মাটি কাটার যন্ত্র) নিয়ে এসে এলোপাথারি কোপ দিতে থাকে। পরবর্তিতে জীবন রক্ষার্থে তাকে প্রতিহিত করে আহত হন সাংবাদিক লিংকন। এসময় সাংবাদিকের মোটর সাইকেল কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়। এসময় আরও আহত হন সাংবাদিক জামাল তালুকদার ও মিজানুর রহমান। একপর্যায়ে ওই যুবকের হাত থেকে ধারালো শারস ছিনিয়ে নিয়ে তাকে আটক করা হয়। তবে আব্দুর রহমান ছাড়িয়ে নিয়ে সন্ত্রাসী সোয়াদকে পালাতে ট্রলারে উঠিয়ে দেয়। পরে হামলাকারীর অস্ত্রটি পানিতে ফেলে আলামত ধ্বংস করার চেষ্টা করে। এবং সাংবাদিকদেরকে ওইসময় আটকে রেখে হুমকী দিতে থাকে। ওইসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সন্ত্রাসী সোয়াদের সহযোগী আবদুর রহমানকে আটক করে। পুলিশ খোঁজাখুজি করলে। এর কয়দিন পরে শেল্টারদাতাদের রক্ষার্থে উপরমহলের নির্দেশক্রমেই সোয়াদ আদালতে গিয়ে আত্মসর্মপনের কৌশল অবলম্বন করে।