নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : শতাব্দির মহানায়ক বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মদিন। সারাদেশে দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসাবেও উদযাপিত হয় মহা সমারোহে। প্রতি বত্সর মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী নূতন প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল আলোকবার্তা বয়ে আনে। দেশ গড়িবার অনুপ্রেরণা তাহারা এই অকুতোভয় নেতার নিকট হইতেই লাভ করে। জীবনের প্রতিটি ধাপেই তিনি বাঙালির সার্বিক মুক্তির জয়গান গেয়েছেন। যৌবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন কারাগারে। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি বলেছেন, ‘আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা’। গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে তিনি যখন ইসলামিয়া কলেজে পড়েন, তখন হইতে তিনি ওতপ্রোতভাবে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সেখানে অধ্যয়নকালেই তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা ফজলুল হকসহ তদানীন্তন বাংলার প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। নেতৃত্ব, ত্যাগ ও অধ্যবসায়ের গুণেই টুঙ্গীপাড়ার এই সন্তান একদিন বাঙালি জাতির গর্বের মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেন। বাঙালি জাতির জন্য নিজের জীবন উত্সর্গ করিতেও তিনি দ্বিধা বোধ করেন নাই।
১৯২০ সালের ১৭ র্মাচ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বড় হয়ে এই সাহসী ছেলেটিই বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানের নব্য ঔপনিবেশিক ও দাসত্বের শৃঙ্খল হইতে মুক্ত করেন। হাজার বত্সরের আরাধ্য ও প্রত্যাশিত স্বাধীন-সার্বভৌম ও অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। ভাষা আন্দোলন হইতে শুরু করিয়া মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁহার অবদান অবিস্মরণীয়। তাঁহার আজীবন ত্যাগ ও তিতিক্ষার জন্য আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। স্বাধীন জাতি হিসাবে বিশ্ব দরবারে মাথা ঊঁচু করে দাড়াতে পারছি। তাই বাঙালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সহিত তাঁহাকে স্মরণ করিতে থাকিবে।