নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : প্রতিদিনের বিদ্যুত লোডশেডিং এখন শহরবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গি হয়ে দাড়িয়েছে। প্রচন্ড গরমে এমনিতেই সাধারণ মানুষ অতিষ্ট তার মধ্যে নেই বিদ্যুত। এতে করে জনজীবন এখন চরম বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। লোডশেডিং হবে এটাকে স্বভাবিকভাবে গ্রহন করে নিয়েছে জনসাধারণ। তবে বেশ কিছু দিন ধরেই শহরে বিদ্যুৎ সমস্যা এখন বিরাট প্রকোপ ধারন করেছে। প্রতিদিনই প্রায় ৫-৭ বার বিদ্যুৎ সমস্যার সম্মূখিন হচ্ছে মানুষ। যেখানে ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১০ ঘন্টাই বিদ্যুতহীন সময় কাটে শহরবাসীর। এর ফলে সাধারণ মানুষকে নানা সমস্যার সম্মূখিন হতে দেখা যাচ্ছে। ক্ষতিগস্থ হতে হচ্ছে ব্যবসায়ী সহ নানা কর্মস্থলের মানুষের। প্রতিনিয়তই স্বাভাবিক সকল কর্মকান্ডে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। আর এতে করে রীতিমত ক্ষোব্দ সর্বসাধারণ ও বিদ্যুত গ্রাহকরা।
এ ব্যাপারে একজন হোসীয়ারী ব্যবসায়ী মো: পারভেজ বলেন, আমারা প্রতি মাসেই সঠিকভাবে বিল পরিশোধ করছি। যদি কখনও বা কোন মাসে বিল পরিশোধ করতে বিলম্ব করি তাহলে আমাদেরকে নোটিশও করা হয়। এবং সর্বোচ্চ ব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছন্নসহ কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে থাকে বিদ্যুত র্কতৃপক্ষ। কিন্তু আমারা গ্রাহকরা যেভাবে নিয়মে থাকি, তাহলে বিদ্যুত র্কতৃপক্ষকে এভাবে নিয়মে কেন রাখা হয় না। যদি থাকে তাহলে তারা ইচ্ছেমত বিদ্যুত চালু এবং বন্ধ করে কিভাবে। আমরাতো তাদেরকে টাকা দেই। তাহলে তারা আমাদেরকে কেন সঠিক সেবা দিচ্ছেনা। এই বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে আমাদের পোশাকের উৎপাদন খুবই কম হচ্ছে। অর্ডার দেয়া মালামাল সময় মত বিক্রেতার কাছে পৌছাতে না পারলে এর খেসারত কে দিবে? কর্মচারীদের বসিয়ে রাখলেতো আমার লাভ নেই। তাদের বেতন আমাকে পুরোটাই দিতে হচ্ছে। আমরা এই ঘন হারে বিদ্যুত লোডশেডিং থেকে রক্ষা চাই।
এদিকে এই বিদ্যুত সমস্যার কারণে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ে পড়–য়া শিক্ষার্থীরাও। এছাড়াও সামনেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেএসসি পরীক্ষা। তাই ভালো ফলাফলের আশায় পরীক্ষার্থীরা এখন অধ্যায়নে মননিবেস করে ব্যপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে প্রচন্ড লোডশেডিংয়ে তাদের অধ্যায়নেও মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে।
বিদ্যুতের সমস্যায় র্জজড়িত হয়ে আল মেরাজ নামে একজন জেএসসি শিক্ষার্থী বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, দুত! আর ভালো লাগেনা! লোখাপড়াই করবোনা। করেই বা কি লাভ। এতো গরমের মধ্যে এতোবার বিদ্যুত গেলে ঠিক মতো কি পড়তে পারি! রেজাল্ট কি ভালো হবে। বিদ্যুতের যন্ত্রনায় বাসায় বাবা আইপিএস ও নিয়ে এসেছে। কিন্তু সেটা র্চাজতো হতে হবে। বিদ্যুতের যা অবস্থা, মাঝে মধ্যে বিদ্যুত যায় না বরং আমাদের এখানেতো মাঝে মধ্যে বিদ্যুত আসে!