নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : সিদ্ধিরগঞ্জে নিউ মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখার সময় মো: মোস্তাক আহম্মেদ (করিম) ওরফে এম এ করিম বশির (৪৩) নামে এক ভুয়া ডাক্তার আটক করেছে র্যাব-১১।
২৯ জুলাই সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাংরোডস্থ হক সুপার মার্কেটে নিউ মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে র্যাবের অভিযানে তাকে আটক করা হয়।
আটক ভুয়া ডাক্তার মো: মোস্তাক আহম্মেদ (করিম) ওরফে এম এ করিম বশির (৪৩) কুষ্টিয়া জেলার সদর থানাধীন কুমারখালী এলাকার রহিম মন্ডলের ছেলে।
এ সময় আটককৃত ভুয়া ডাক্তারের কাছ থেকে এমবিবিএস (ডি-অর্থো), পিজিটি (ডি-অর্থো), পিজিটি(ইমনটি ও হৃদরোগ) চীপ মেডিকেল অফিসার, সিকদার গ্রুপ, হাড় জোড়া, বাত ব্যাথ্যা, মেরুদন্ড বিশেজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামীয় ভিজিটিং কার্ড ও রোগী দেখার প্রেসক্রিপশন প্যাড উদ্ধার করা হয়।
৩০ জুলাই র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দীন চৌধুরী পিপিএম জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার আটক করা হয়। অভিযানকালে র্যাবের অভিযানিক দল নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে তার বিএমএন্ডডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চাইলে সে তার নামের সাথে মিল থাকায় ডা : মো: মোস্তাক আহম্মেদ এর রেজিস্ট্রেশন নম্বর-২৬৬৩৩ দেখায়। কিন্তু উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, নিবন্ধনকৃত ডা: মোস্তাক আহমেদ ও সে এক ব্যক্তি নয়।
এছাড়াও তিনি আরো জানান, তার নামের সাথে মিল থাকায় সে প্রায় ১২ বছর ধরে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী দেখে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছে। জিজ্ঞাসাবাদ সে আরো জানায় স্থানীয় কলেজ থেকে ১৯৮৯ সালে এইচএসসি পাস করার পর দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেকে এমবিবিএস ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখে আসছে বলে জানা যায়। আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দীন চৌধুরী পিপিএম বলেন, গত তিন মাসে ভেজাল বিরোধী অভিযানে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ৯ জন ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে র্যাব। তাদের কাউকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। আবার কারো বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ভেজালের বিরুদ্ধে র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।