নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশে গত ১৪ই এপ্রিল থেকে আগামী ২১ই এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও নিত্যপন্যের দোকানে লকডাউন চলছে অনেকটা ঢিমেতালে। চায়ের দোকান, কাচাঁবাজার ও রাস্তায় সাধারণ মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
রূপগঞ্জের হাটবাজারগুলোর মধ্যে ভুলতা, বরপা, মাসাবো, সুতালড়া, মৈকুলী, কাঞ্চন, মুড়াপাড়া, চনপাড়া, নোয়াপাড়া, তারাবোসহ বেশীরভাগ বাজারগুলোতে মানছেনা কেউ স্বাস্থ্যবিধি। অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। রূপগঞ্জ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের দেয়া তথ্য মতে এ পর্যন্ত রূপগঞ্জে মোট ২১৬৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।
আজ ১৮ই এপ্রিল রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্তÍ উপজেলার ভুলতা, বরপা, মাসাবো, সুতালড়া, মৈকুলী, কাঞ্চন, মুড়াপাড়া, চনপাড়া, নোয়াপাড়া, তারাবোসহ বেশ কয়েকটি হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। এখানকার বাজারগুলোতে লকডাউন বা স্বাস্থবিধির কোন বালাই নেই। এর মধ্যে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই কাাঁচাবাজার। এখানে সবচেয়ে বেশী অনিয়ম দেখা গেছে। ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছেনা কোন পদক্ষেপ। তারা দায়সারাভাবে রুটিন মাফিক টহল দিয়ে চলে যায়।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত নিত্যপন্য ও কাঁচাবাজার খোলা রাখার নির্দেশ থাকলেও তা মানছেনা দোকানদারা। তারা সকাল থেকে রাত্র পর্যন্ত অবিরাম খোলা রাখছে দোকান। কিন্তু রূপগঞ্জের সব এলাকায়ই নিত্যপন্য ও কাঁচাবাজারের পাশাপাশি কাপড়ের দোকান, মোবাইল ফোনের দোকান, সেলুন, ধুনকার, হার্যওয়্যার, ক্রোকারিজসহ সব ধরনের দোকানপাট খোলা রয়েছে সকাল থেকে রাত্র পর্যন্ত। চায়ের দোকান খোলা থাকে সকাল থেকে রাত অবধি। আর চায়ের দোকানগুলোতে জমছে নিয়মিত আড্ডা। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মাস্ক না পড়েই কারণে অকারণে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে মানুষ। তাছাড়া কাচাঁবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দোকান গুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মানুষ। কাচাঁবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দোকান গুলো থেকে পন্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ক্রেতা বিক্রেতা কারো মধ্যেই তেমন সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়নি। মাঝে মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের গাড়ির সাইরেন শুনলে রাস্তাও দোকানপাট ফাঁকা হয়ে যায়। পরক্ষণেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ্ নূসরাত জাহান বলেন, লকডাউন কঠোর করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে।