মেয়র আইভীর নির্দেশে ২দিন আগে গড়ে উঠা গরুর হাটে আচমকা উচ্ছেদ অভিযান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : প্রস্তাবিত এ.কে.এম সামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামের খালি মাঠে ২দিন আগে গড়ে উঠা গরুর হাটে নাসিক মেয়র আইভীর নির্দেশে আচমকা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে নাসিক কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার ৬ই সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ইসদাইর পৌর ওসমানী স্টেডিয়াম সংলগ্ন প্রস্তাবিত এ.কে.এম সামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামের এই অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ তোফায়েল আহম্মেদ। নির্দেশনায় অটল তড়িগড়ি অভিযান চালালেও র্ব্যাথ প্রচেষ্টায় হাটের একাংশ উচ্ছেদে সময় লেগেছে ৭ ঘন্টা।

এ ঘটনায় হাট কর্তৃপক্ষ হাজ্বি মহিউদ্দিন বাহার লিটন জানান, গত এক সপ্তাহ যাবৎ হাটটিকে সকল সুযোগ সুবিধায় সম্পৃক্ত করে ২দিন আগে গড়ে উঠেছে এই হাট। ৩০ আগস্ট ইসদাইরে পরিত্যক্ত আরএস-১৯৯, এবং ২৬৬ নং দাগে খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর প্রদান প্রসংগে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনায়েতনগর ইউনিয়ন এর জমিতে এ হাটটি বসানো হয়েছে। বর্তমানে এ হাটে প্রায় ১ হাজারের ও অধিক গরু রয়েছে। কিন্তু কেন ও কি কারনে নাসিক উচ্ছেদ করতে এসেছে তা আমাদের জানা নেই। পরবর্তীতে জানতে পারলাম জমিটি নাকি নাসিকের।

এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর এই উচ্ছেদ চলাকালে কয়েকবারই বাধার সম্মূখীন হয় নাসিক কর্তৃপক্ষ। ইজারাদারের দাবী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন এর জমিতে এ হাটটি বসানো হয়েছে। অপরদিকে নাসিক কর্তৃপকক্ষের দাবী নাসিক আওতাধীণ জায়গায় সর্ম্পূণ অবৈধভাবে এই হাটটি দখল করে বসানো হয়েছে । পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ তোফায়েল আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ কর্মীরা উচ্ছেদ শুরু করে। এসময় জনস্বার্থে ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বেপারীদের সুবিধার্থে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির ১ দিনের সময় চেয়ে অনুরোধ করলে তা নাখোশ করে দেয় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

একপর্যায় নাসিক আওতিাধীণ নির্ধারিত স্থান চিহ্নিত করে এরপর উচ্ছেদ চালানোর অনুরোধ করেন। তারপর নাসিক কর্তৃপক্ষের কাছে নির্ধারিত স্থানের প্রমান স্বরুপ ম্যাপ ও প্রয়োজনীয় কাগজাদি চাইলে র্ব্যাথ হন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও নাসিক কর্তৃপক্ষ।

এদিকে দূরদুরান্ত থেকে আসা গরুর বেপারী ও এলাকাবাসী হাটটি বহাল রাখার দাবীতে দফায় দফায় মিছিল করে। উক্ত উচ্ছেদ অভিযানটি চলাকালে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বশেষ হাটের একাংশই উচ্ছেদ করতে সফল হন নাসিক কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে নাসিকের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জানান, এখানে যে পশুর হাট বসানো হয়েছে তা অবৈধ, কারন এই জায়গাটি নাসিকের। নাসিকের অনুমতি না নিয়েই তারা এ হাটটি বসিয়েছে। অতএব নাসিকের জায়গায় ইজারা ব্যতিত কোন হাট বসালে তা উচ্ছেদ করা হবে। শুধু এই হাটই নয় পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সকল অবৈধ হাটে আমাদের এই উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। আজকের মত আমাদের অভিযান এখানেই সমাপ্তি। তবে আগামীকাল (বুধবার) সকালে এই হাটে নাসিক আওতাধীণ নির্ধারিত জায়গা চিহ্নিত করতে সার্ভেয়ার এর সহযোগীতায় চুরান্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, নাসিকের স্টেট কর্মকর্তা কালাম মোল্লা, বাজার পরিদর্শক কর্মকর্তা মোঃ জহির, স্বাস্থ্য বিভাগের বর্জ্য অপসারন কর্মকর্তা আলমগীর হিরন, করজারভেশন কর্মকর্তা রাশেদুর ইসলাম রানা। আরো উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল উদ্দিন, ওসি তদন্ত মোঃ শাহজালাল ও হাট কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত