নারায়ণগঞ্জ বার্তা ( স্টাফ রিপোর্টার ) : প্রবীণ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ লুৎফর রহমানের গুরুতর অসুস্থ খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গেলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি, বিএনপি নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। আজ ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শহরের ডনচেম্বার রোডস্থ সেলিনা মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নেয়া ওই মুক্তিসেনাকে দেখতে যান তিনি। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর জিয়া মঞ্চ এর আহবায়ক ও মহানগর যুবদলের নেতা রানা মজিব সহ প্রমুখ।
ওইসময় লুৎফর রহমানের সেবায় নিয়োজিত থাকা তার ছোট সন্তান সৈয়দ রিফাত আল রহমান এর কাছ থেকে শয্যাশায়ী ওই মুক্তিসেনার শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নেন কাউন্সিলর খোরশেদ। এছাড়াও লুৎফর রহমানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং তার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া করার আহ্বান জানান।
চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয় হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ভর্তির জন্য কোন সিট খালি না পাওয়ায় ওইদিন রাতে বারান্দায় সাধারণ বেডে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন চিকিৎসক। এরপর সেখান থেকেও রেফার করা হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে। কিন্তু ওইখানকার চিকিৎসকরাও বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়ে ভর্তি নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। পরবর্তিতে সোহরাওয়ার্দী নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়।
এদিকে, রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত প্রো-অ্যাক্টিভ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। তৎক্ষনাত কয়েকটি পরীক্ষা করলে ফুসফুসে ইনফেকশন, ডায়াবেটিস ও ব্রেনজনিত রোগ দেখা দেয়। ৪ দিন আইসিইউ বেডে চিকিৎসা সেবা প্রদানের পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত ১৯ই অক্টোবর তাকে কেবিনে দেয়া হয়। ধারাবাহিক চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ শেষে গত ২৩ই অক্টোবর আবারো রোগীর বুকের এক্স-রে, রক্ত সহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হলে চিকিৎসক তার অবস্থার উন্নতি দেখতে পেয়ে বাসায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর হাসপাতাল থেকে গত ২৪ অক্টোবর রিলিজ দেয়া হলে বাসায় নিয়ে আসা হয়। তারপর গত বছরের ১৩ই ডিসেম্বর সোমবার নারায়ণগঞ্জে অবিস্থত ল্যাবএইড হাসপাতালে দেখাতে নিয়ে গেলে লুৎফর রহমানের দেহের মূত্রনালীতে সমস্যা ধরা পড়ায় তৎক্ষনাত রোগীর বুকের এক্স-রে, ইসিজি ও রক্ত সহ কয়েকটি পরীক্ষা করতে বলে চিকিৎসক।
এছাড়া চলতি বছর গত ২৮ নভেম্বর সোমবার বাসায় দুপুরের খাদ্য খেতে সমস্যা দেখা দেয়, শারীরিক দুর্বলতা ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা এবং দু-চোখ নিস্তেজ দেখা দেয়। এরপর চিকিৎসকের পরার্মশে বাসায় রক্ত পরীক্ষা করে তারপর স্যালাইন পানি, অক্সিজেন স্যালেন্ডার আর নেবুলাইজার দিয়ে বাসায় রাখা হয়। ৩ দিন বাসায় রেখে অবস্থা অবনতি দেখে চিকিৎসকের পরার্মশে ১লা ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়াস্থ ডনচেম্বার এলাকায় অবিস্থত সেলিনা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে এখন হাসপাতালে শয্যাশয়ী রয়েছেন তিনি।