মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করলে যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ঢাকা ডেস্ক ) : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড অংশ নিলে বা তাতে মদত দিলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রেখে আইন করার প্রস্তাবের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একইসাথে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছর জেল এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানিযেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো ব্যক্তি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদালত থেকে মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিষয়াবলী বা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেকোনো অপপ্রচার, প্রগাগান্ডা চালালে বা তাতে মদত দিলে তিনি সর্বনিম্ন তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ এক কোটি টাকার অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। মন্ত্রিসভা নতুন এই আইনের নীতিগত অনুমোদন দিলেও সেটি আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে আইনমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন অপর্যাপ্ত, এটি বিস্তারিত আইন। এই আইন পাস হলে আইসিটি আইনের ৫৪, ৫৫ ও ৫৬ ধারা ওই আইন থেকে বাদ পড়বে। তবে আইসিটি আইনে ইতোমধ্যে দায়ের হওয়া মামলাগুলো ওই আইন অনুযায়ী চলবে।

তিনি বলেন, নতুন আইনে অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে সাইবার আক্রমণ করলে সর্বনিম্ন দুই বছর এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা জরিমানা করা হবে।

শফিউল আলম বলেন, নতুন আইনে কম্পিউটার, মোবাইলসহ অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসে জালিয়াতি, কম্পিউটার বা মোবাইলে প্রতারণা ও হুমকি, প্রতারণা বা ঠকানোর উদ্দেশ্যে অন্যের তথ্য ব্যক্তিগত বলে দেখানো, পর্নোগ্রাফি, মানহানি, শত্রুতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের জন্য আলাদা শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী সরকার ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’ গঠন করবে।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত