নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও রিসোর্টে ভাংচুরের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এছাড়া মামলায় ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামিও করা হয়েছে। আজ ৭ই এপ্রিল বুধবার দুপুরে সোনারগাঁ থানায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা বাদি হয়ে দুটি ও হেফাজত নেতাকর্মীদের হামলায় আহত সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে একটিসহ সোনারগাঁও থানায় তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলা দায়ের করে সোনারগাঁও থানা পুলিশ, অন্যটি দায়ের করে অনলাইন টিভি চ্যানেল এসের সোনারগাঁও প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান। মামলার বিষয়টি নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম নিশ্চিত করেছেন।
তিনটি মামলা হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে প্রধান আসামী করে ৫শ জনকে আসামী করা হয়। এ ঘটনায় এজহারভূক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশের দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামী একজনের নাম মোস্তাফা বলে জানা গেছে। মোস্তফাকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় তিনটি মামলা গ্রহন করা হয়েছে। এ মামলায় কয়েকশ জনকে আসামী করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামী সনাক্ত করে নাম ঠিকানা অর্ন্তভূক্ত করা হবে। এ ঘটনায় এজহারভূক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩ই শনিবার এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দীঘিরপার এলাকায় অবস্থিত রয়েল রিসোর্টে এক নারীকে নিয়ে উঠেন হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন রিসোর্টে নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখে। মামুনুল হক দাবি করেন ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে পুলিশ গেয়ে তাকে উদ্ধার করে। যদিও তার বিয়ে নিয়ে কিছু জানে না মামুনুলের পরিবার।
এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ প্রচার করেন। তখন হেফাজতের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে রিসোর্টে ভাংচুর করে হেফাজত নেতাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত আওয়ামী লীগের কার্যালয়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর চালায়।