নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দর উপজেলার মদনপুরে ভোজন বিলাস চাইনিজ রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে আসা এক ব্যক্তির মানিব্যাগ থেকে ৬ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে।
সূত্র মতে জানা গেছে, রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে আসা এক ব্যক্তির ম্যানিব্যাগ খাবার টেবিলের উপরে রেখে হাতমুখ ধুয়ার জন্য গেলে সেই সুযোগে মসিওর রহমান বিপশা নামে এক ব্যক্তি মানিব্যাগ থেকে কৌশলে ৬ হাজার টাকা সরিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। মসিওর রহমান বিপশা মদনপুরের নিকটস্থ ২৭নং ওয়ার্ডের ফুলহর মুন্সীবাড়ীর আঃ বারেক মেম্বারের ছেলে ও ফুলহর ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের সাধারন সম্পাদক হাজি সালাউদ্দিনের শালা বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান যে, ঐ ব্যাক্তি খাবার শেষে বিল পরিসোধ করার সময় তার ম্যানিবেগে থাকা ১৬ হাজার টাকা হতে ৬ হাজার টাকা না থাকায় সে চিৎকার করে বলে যে আমার মানিব্যাগ থেকে কে বা কাহারা ৬ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। তখন রেস্টুরেন্টে উপস্থিত সকলে জড়ো হয়ে যায় এবং সবাইকে তল্লাসী চালালে টাকা বের হয়ে যাবে বলে সবাই বলতে থাকে।
তখন রেস্টুরেন্ট কতৃপক্ষ সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যার যার খাবার টেবিলে থাকেন আমরা পুলিশকে সংবাদ দিব কারন এ ধরনের অপকর্ম আমাদের সুনাম নষ্ট করবে। এসময় উক্ত ঘটনাটি আলোড়নের ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
উক্ত ঘটনাটির সময় খাবার খেতে আসা ফুলহর এলাকার বাসিন্দা আফজাল হোসেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি তখন রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে দেখার কথা বলেন। আফজাল তখন টাকা উদ্ধারে সকলকে প্রচন্ড ভয়ভীতি দেখায় এবং বলে যে, যার নিকট চুরিকৃত টাকা পাওয়া যাবে তাকে পুলিশে দেয়া হবে। এমন সময় মসিওর রহমান বিপশার নিকট হতে চুরিকৃত টাকা পাওয়া যায় এবং বিপশা নিজে স্বীকার করে বলে যে আমি ভুল করেছি, আর এ ধরনের ভুল করবোনা। আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দিন। আমি উপস্থিত সকলের নিকট ক্ষমা চাচ্ছি আমাকে পুলিশে দিবেন না। মানবতার কারনে এলাকার ছেলে হিসেবে আফজাল সহ খাবার খেতে আসা অন্যান্যরা তাকে চোর আখ্যা দিয়ে রেস্টুরেন্ট হতে বের করে দেন বলে সাংবদিকদের জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
তারা আরো জানান, বিপশা কিছুদিন পূর্বে তার নিজ বাড়ীতে মাল্টিপারপাস নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে কোটি কোটি টাকা গ্রাহকদের নিকট হতে নিয়ে ভূয়া প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন। এখন মাল্টিপারপাস এর সদস্যরা তাদের পাওনা টাকা চাইলে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকী ও তালবাহানা করা হয়।
সে তাদেরকে আরো বলেন আমার বাবা মেম্বার, আমার দুলাভাই ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের সাধারন সম্পাদক ও আমি আওয়ামী লীগের নেতা এরকম একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে থাকেন। এমতাবস্থায়, এলাকায় চুরি-ছিনতাই সহ অর্থ আত্মসাৎকারী বিপশার কবল হতে সাধারন মানুষকে মুক্তি দিতে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিন মন্ডল সহ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।