নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : চৌকশ ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তরিকুল আলম জুয়েলের বিচক্ষনতায় পাল্টে যাচ্ছে মদনগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির দৃশ্যপট। ১২জন কনষ্টেবল, ১জন টিএসআই ২জন এএসআই নিয়ে পরিচালিত এ ফাড়িটি জায়গা সংকুলান কিংবা নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও ইন্সপেক্টর জুয়েল যোগদানের পর থেকেই ফাড়ির অবধারিত সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন। যেই মুহুর্তে এএসআই আলম সরোয়ার্দী রুবেলের অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যারিয়ারে কিছুটা হলেও আঘাত হানছে ঠিক সেই মুহুর্তে ইন্সপেক্টর জুয়েলের ভূমিকা পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তিকে উজ্জল করেছে।
দীর্ঘ দিন পরে হলেও মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ায় কেবল পুলিশ মহলেই নয় গোটা এলাকাবাসীর কাছে প্রশংসার দাবীদার হয়ে উঠেছেন। ফাঁড়ি সংস্কারের উদ্যোগ ছাড়াও ইন্সপেক্টর জুয়েল ইতোমধ্যে তার ফাঁড়ি সংলগ্নবর্তী বসুন্ধরা সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর সামনে একটি ট্রাকের ধাক্কায় এক পাগল মহিলা আহত হওয়ার পর তিনি ব্যাক্তিগতভাবে অর্থ দিয়ে ওই পাগল মহিলার চিকিৎসা করান। বিষয়টি সর্বমহলেই বেশ আলোচনার সৃষ্টি করে। কিছুদিন আগেও ফাঁড়িটি ছিল একেবারেই জরাজীর্ণ। তরিকুল আলম জুয়েলের নিপূণ হাতে ছোঁয়া লাগতেই ফাঁড়িটি অনেকটা আধুনিকতায় রূপ নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দা তথা সোনাকান্দা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন, মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িটি অনেকদিন ধরেই অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তু তরিকুল আলম জুয়েল স্যার আসার পর থেকেই এটির চেহারা পাল্টে গেছে। আগে দর্শনার্থী কেউ গেলে বসার কোন সুযোগ ছিলনা। দু’চার কথা বলার মতো পরিবেশ ছিলনা। পুলিশদের নিজেরও কোন বসার কিংবা অবস্থান করার মতো পরিস্থিতি ছিলনা কিন্তু জুয়েল স্যার এই ফাঁড়িটির আমূল পরিবর্তণ করেছেন যা কিনা ৫০ বছরের ইতিহাসে কেউ করতে পারেনি। আমরা মদনগঞ্জবাসী তাকে সাধুবাদসহ তার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ূ কামনা করি।