নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে প্রদান করা ঈদ সামগ্রীর প্যাকেট প্রকৃত অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের বিতরণের অনুরোধ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। কোন অবস্থাতেই যাতে করে কেউ ভোটার হিসেব করে অথবা বাড়ির ভাড়াটিয়া, কাজের মহিলাদের হাতে যেন এ ঈদ সামগ্রীর প্যাকেট তুলে না দেন এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেছেন।
২৬ জুন রবিবার বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের তৃতীয় তলায় সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৫ নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন স্থানীয় সকল জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এ অনুরোধ করেন।
পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সিনিয়র সহ সভাপতি মঞ্জুরুল হক সহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতাদের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জের হতদরিদ্র মানুষের মুখে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আমাদের সাধ্যমত ক্ষুদ্র পরিসরে ঈদ সামগ্রী দিয়ে সহযোগীতা করেছি। আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে ঈদ সামগ্রী গুলো প্রকৃত হতদরিদ্র মানুষের কাছে পৌছে দিবেন।
সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২৫ হাজার প্যাকেট ঈদ সামগ্রী এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সহযোগীতা আর ১৪ হাজার প্যাকেট সহ মোট ৩৯ হাজার ঈদ সামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করা হবে। পরবর্তীতে দলীয়ভাবে আরো ৬ হাজার প্যাকেট ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হবে মত বিনিময় সভায় জানান সেলিম ওসমান।
সভায় সেলিম ওসমান জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ২৫ হাজার প্যাকেট ঈদ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে ছিলাম। বাংলাদেশ ইয়ার্ন মাচেন্টের ইফতার মাহফিলে আমি ব্যবসায়ী সংগঠন গুলোর উদ্দেশ্যে ইফতার মাহফিলের আয়োজন না করে সেই অর্থ দিয়ে হত দরিদ্র মানুষের ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানাই। আমার আহবানে সাড়া দিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠন গুলো আমাকে যথেষ্ট পরিমান সহযোগীতা করেছে। যার ফলে ঈদ সামগ্রীর প্যাকেটর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩৯ হাজারে। এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। কোন ভোটার উদ্দেশ্য করে এই ঈদ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না। হত দরিদ্র মানুষ গুলো যাতে অত্যন্ত ঈদের দিনের সকালে হাসতে পারে তাদের সন্তানদের মুখে সেমাই তুলে দিতে পারে তার জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা। প্যাকেট গুলো বিতরণের সময় হতদরিদ্র শব্দটি ভুলে গেলে চলবে না। ঈদের দিন সকালে একজন মানুষও যাতে তাদের সন্তানের মুখে সেমাই তুলে দিতে না পেরে চোখের পানি না ফেলে।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না আপনারা শতভাগ ভোট পেয়ে পাশ করেননি। আপনাদের সাথে যারা পরাজিত হয়েছেন তাদেরকেও জনগন ভালোবাসে। তাই ঈদ সামগ্রী গুলো বিতরণের সময় তাদেরকেও সাথে রাখতে হবে। তাদের মূল্যায়ন করতে হবে, চেয়ারম্যান মেম্বার পদে যারা বিজয়ী হতে পারেননি তাদের সবাইকে সাথে রাখতে হবে, সাবেক চেয়ারম্যান যারা আছেন তাদেরকেও সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে।
মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর নব নির্বাচিত সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, বিকেএমইএ সহ সভাপতি (অর্থ) জিএম ফারুক, সাবেক সহ সভাপতি এম এ হাতেম, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা, বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নব নির্বাচিত পরিচালক, ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু, পরিতোষ কান্তি সাহা, শংকর সাহা, বিকেএমইএ এর পরিচালক হুমায়ন কবির খান শিল্পী, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র শারমিন হাবিব বিন্নী, কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু, শওকত হাসেম শকু, কামরুল হাসান মুন্না, আনোয়ার হোসেন আনু, হান্নান আহম্মেদ, ফয়সাল সাগর, নূর হোসেন মিয়া, নারী কাউন্সিলর খোদেজা খানম নাসরিন, ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, রেজওয়ানা হক সুমি, ইফতা জাহান মায়া, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকছুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশেদ আলী, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি প্রমুখ।