নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাদাঁবাজ ও মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় শহরের নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কর্মজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি চাঁন মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে সিদ্ধিরগঞ্জ পাইনাদি এলাকায় ৪ কাটা জায়গায় কোন ব্যক্তি বাড়ি করতে হলে কাউন্সিলর ওমর ফারুককে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হয়। একই সাথে বাড়ি র্নিমানের মালামাল রড সিমেন্ট বালুসহ অন্যান্য জিনিসপত্র তার কাছে কিনতে বাধ্য করে ফারুক। কোন মানুষ নিজের ইচ্ছা মত বাড়ি করতে পারে না। অন্যথায় তিনি বাড়ি র্নিমানের কাজ বন্ধ করে দেন।
তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ পাইনাদি এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজে বিভিন্ন অনিয়ম করেন। আমি তার প্রতিবাদ করায় সে আমার ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই এলাকা দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সড়কটির পাশে আমার ২ টি বাড়ি থাকায় ওমর ফারুক জনপ্রতিনিধি হয়েও তাতে বাধা প্রদান করে। পরে জনস্বার্থে মেয়র আইভী তা করার উদ্যোগ নেন। এবং সড়কটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ ফুট প্রশস্থ ও ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য আরসিসি ঢালাই সহ ড্রেন নির্মান কাজের টেন্ডার পান মেসার্স কামাল ট্রেডার্স।
চাঁন মিয়া আরো বলেন, রাস্তার দুই পাশের বাড়ির লোজনের পক্ষে হতে ৬ ফিট করে দেয়ার কথা থাকলেও তারা আমার নিকট থেকে ৮ ফিট নেন। আমিও দেই। কিন্তু আমার অপর সাইডে রফিকুল ইসলামের নিকট হতে ৪ ফিট নেয়ার কথা থাকলেও তারা ২ ফিট দিয়েছে। বাকি ২ ফুট আমার কাছ থেকে জোড়পুর্বক নিতে চাচ্ছে। কাউন্সিলর ওমর ফারুক রফিকের সাথে আতাত করে আমার বাড়ি বাউন্ডারি দেয়াল ভাঙ্গার কথা বলেন। আমি তার প্রতিবাদ জানালে তিনি আমার বিরুদ্ধে অপ প্রচার চালাতে থাকেন। একজন জন প্রতিনিধি হয়েও সে কি করে জনগনের বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তবে এসব অভিযোগ নাসিক কাউন্সিলর ওমর ফারুক অস্বিকার করে বলেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে যে বাড়ি করতে গেলে আমাকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হয় তাহলে আমি আর কাউন্সিলর থাকবো না। কারণ আমি নিজে বলেছি আমার ওয়ার্ডে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মুক্ত রাখবো। চাঁন মিয়ার বাড়ির সামনে দিয়ে একটা রাস্তা গেছে এটা করতে চাইছি কিন্তু চাঁন মিয়া দিচ্ছে না। সে রাস্তায় খুটি দিয়ে রাখছে। জনগনের জন্য এটার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তার সাথে আমার একটু বিরোধ হয়। ওই পরিপ্রেক্ষিতে চাঁন মিয়া আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আর আমার ওয়ার্ডে কোন মাদক নেই। এই ওয়ার্ডে আমি মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছি।