নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরের মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের সমর ক্ষেত্র ৭১ এর জায়গায় লাগানো গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর উপজেলা বন বিভাগের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের কথাকাটি হয়েছে। ৮ অক্টোবর শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মদনগঞ্জ- মদনপুর সড়কের মরা গাছ কাটার জন্য দরপত্রের আহবান করেন সামাজিক বন বিভাগ (ঢাকা)। বন্দরের মাদবপাশা এলাকার মৃত সোহরাব প্রধানের ছেলে বালু দস্যু জামাল প্রধান গাছ কাটার টেন্ডার পায়। মরা গাছ টেন্ডার নিয়ে বালু দস্যু জামাল প্রধান ভাল ও জীবিত গাছ অবাদে কাটছে। বন্দর উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ও নিলু মিয়াকে ম্যানেজ করে ভাল গাছ কেটে নিচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। শনিবার সকালে সমর ক্ষেত্র ৭১এর সাইন বোর্ড লাগানো গাছ কাটা নিয়ে শুরু হয় বিরোধ। গাছ কাটার এক পর্যায়ে আরাফাত কবির ফাহিম জেলা জাতীয় পাটির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল জাহের ও বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নাসির উদ্দিনকে অবহিত করেন। তারা তাৎক্ষনিক সরজমিনে আসেন এবং থানা প্রশাসনকে অবহিত করেন। আবুল জাহের ও নাসির উদ্দিন তাৎক্ষনিক গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। এ সময় বালু দস্যু জামাল প্রধান ঘটনাস্থলে আসেন এবং দরপত্রের কাগজ দেখান। দরপত্রের কাগজে মরা গাছ কাটার অনুমতি থাকলেও জীবিত গাছ কাটছেন কিভাবে এবং সমর ক্ষেত্র ৭১ এর সাইন বোর্ডটি লাগানো গাছটি কাটার পূর্বে সংসদকে জানানোর প্রয়োজন ছিল। গাছ কাটলেন তাহলে সাইন বোর্ডটিকি ফেলে দিবেন কমান্ডার নাসির উদ্দিন ও আবুল জাহেরের এমন বক্ত্যব্যে জামাল প্রদান হতবম্ব হয়ে পরেন। বন্দর উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ও নিলু মিয়ার যোগসাজশে জামালসহ অন্যান্য লোকেরা জীবিত গাছ কেটে সরকার আর্থিক ক্ষতি ও পরিবেশে নষ্ট করছে। কাটা গাছ স্ব-স্থানে রেখে দেন মুক্তিযোদ্ধারা। গাছ কাটা বন্ধ করে চলে যেতে বাধ্য হয় জামাল বাহিনী। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের জরুরী হস্তক্ষেপ চেয়েছে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন মহল।