নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : প্রেমিক ও তার সহযোগিদের সহতায় প্রেমিকা প্রিন্টিং কর্মী (১৮)কে গনধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষনের ঘটনার ৫দিন পর ধর্ষিতা বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে প্রেমিকসহ তার ২ সহযোগিকে আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৬(৮)১৭। ধারা- নারী ও শিশু র্নিযাতন দমন (সংশোধনী/০৩) আইনের ৯(৩)।
মামলা এজাহার ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার নবীগঞ্জস্থ জাহানারা বেগমের বাড়ী ভাড়াটিয়া ও মৃত রজ্জব আলী মিয়ার মেয়ে শহরের কিল্লারপুল এলাকায় একটি প্রিন্টিং কারখানায় কাজ করে আসচ্ছে। এ সুবাধে ১ মাস পূর্বে একই বাড়ীর অপর ভাড়াটিয়া নূর ইসলাম মিয়ার ছেলে ইমরানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সুবাদে গত ২ আগষ্ট রাত ২টায় প্রিন্টিং কর্মী ও তার প্রেমিক ইমরান ভাড়াটিয়া বাসার রান্না ঘরের সামনে প্রেমের বিষয় নিয়ে কথা বলে। গভীর রাতে রান্না ঘরের সামনে গোপনে কথা বলার বিষয়টি অপর ভাড়াটিয়া আলম মিয়া ও সালাউদ্দিন মিয়া দেখে ফেলে এবং বিষয়টি সকলকে জানিয়ে দিবে বলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দামকি দেয় প্রিন্টিং কর্মীকে।
এরপর উল্লেখিত ৩ জন জোর পূর্বক প্রিন্টিং কর্মীকে ইমরানের ভাড়াকৃত রুমে নিয়ে যায়। পরে প্রেমিক ইমরানের সামনে প্রথমে আলম মিয়া প্রিন্টিং কর্মীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক তাকে প্রথম ধর্ষন করে। পরে পর্যায় ক্রমে সালাউদ্দিন মিয়া এবং সব শেষে প্রেমিক ইমারনও জোর পূর্বক তার প্রেমিকাকে ধর্ষন করে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে ইমরানের রুম ত্যাগ করে। নিরিহ প্রিন্টিং কর্মী তার জীবনের কথা চিন্তা করে বিষয়টি গোপন রাখে।
গত ৭ আগষ্ট সোমবার বেলা ১১টায় প্রেমিক ইমরানের ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোন থেকে ধর্ষিতার মোবাইল ফোনে করে বলে তাকে আর বিয়ে করবে না জানায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে বন্দর মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দুপুরে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরিক্ষা নিরিক্ষা জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবুল কালাম তিনি জানান, গনধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা ধর্ষনকারিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছি।