নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : সোনারগাঁয় উপজেলার রিনা আক্তার নামে অসহায় পিতৃহারা শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মেধাবী কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে ঈদ সামগ্রী ও ল্যাপটপ নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। রোববার (১৯ মে) বিকেলে তিনি আকষ্মিক বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় রিনা আক্তারের বাড়িতে এসময় সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন।
এসময় রিনা আক্তারের আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী অশ্রুসিক্ত নয়নে সাংসদ খোকাকে অভিনন্দন জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বৈদ্যোর বাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলী, আইয়ুব আলী, জাতীয় পার্টির নেতা শেখ ফরিদ মো. ইলিয়াছ প্রমুখ।
জানা যায়, উপজেলার আনন্দবাজার এলাকার মৃত আব্দুস সোবহানের চার সন্তানের মধ্যে মেঝ সন্তান রিনা আক্তার। জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধী রিনা আক্তার এ বছর সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
সম্প্রতি এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা এ অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীর মায়ের কোলে চড়ে কলেজে আসা যাওয়া ও পরীক্ষায় অংশগ্রণের খবর জানতে পারেন। পরে রোববার বিকেলে তিনি রিনা আক্তারের জন্য একটি এইপি ব্যান্ডের ল্যাপটপ, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন জামা কাপড়, মায়ের জন্য শাড়ি, সেমাই, চিনি, তেল ও সোনারগাঁয়ের সুস্বাদু লিচুসহ বিভিন্ন ঈদ সামগ্রী নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন। এসময় আকষ্মিক সংসদ সদস্যকে দেখে রিনা আক্তার, তার আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীর মাঝে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।
এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও রিনা যেভাবে কষ্ট করে লেখাপড়া করছে এতে আমি তাকে নিয়ে গর্ববোধ করি। রিনাকে কেউ যেন পিতৃহারা না বলে। আজ থেকে লিয়াকত হোসেন খোকা তার বাবা ও ডালিয়া তার মা। সে যতদূর লেখাপড়া করতে চায় আমি তাকে পড়াবো। তার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব আমার।
এমপি খোকা আরো বলেন, শুধু রিনা আক্তারই নয়। বরং সোনারগাঁয়ে যত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে আমি তাদের পাশে আছি। আমরা সবাই এক সঙ্গে এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন করবো।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে প্রতিবন্ধী রিনা আক্তার বলেন, এমপি সাহেব এভাবে আমাদের বাড়িতে ল্যাপটপ ও ঈদ সামগ্রী নিয়ে আসবেন তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। আমার যে একটা ল্যাপটপের শখ ছিলো তা তিনি কিভাবে জেনেছেন তাও আমার জানা নেই। তিনি সোনারগাঁয়ের গর্ব। আমরা মন থেকে তার জন্য দোয়া করি।
বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মেম্বার আইয়ুব আলী ও মোহাম্মদ আলী জানান, এমপি সাহেব এসেছেন শুনে আমরা এখানে ছুটে এসেছি। তিনি আজ মহানুভবতার যে দৃষ্টান্ত গড়লেন। প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির উচিৎ তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।