নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ রিফাত ) : অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাসহ তুলনামূলক সংখ্যার বাইরে নারায়ণগঞ্জে যানবাহন চলাচলা বৃদ্ধি পাওয়ায় শহর মুখি সৃষ্টি হচ্ছে বড় যানজট। আর এই যানজটে নাকাল নারায়ণগঞ্জবাসী। ৭ অক্টোবর শনিবার সরকারি বন্ধের দিনেও সকাল ও রাতের বেলায় ফতুল্লা, পাগলা ও ঢাকা পুরান সড়কসহ পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর জুড়ে দেখা গেছে যানজট। সড়কের দুই পাশের ফুটপাত হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় যানজটে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া, পঞ্চবটি, ফতুল্লা, পাগলাতেও যানজট এখন নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাছাড়া প্রধান সড়কের যানজটের প্রভাব আবার শাখা সড়কগুলোতে পড়েছে। সংযুক্ত প্রতিটি সড়কেই ছিলো যানজট। প্রত্যেকটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, অটোরিকশার, সিএনজি ও বাসের অবৈধ পার্কিং ও যাত্রী ওঠা নামার কারণে এই যানজটের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। এদিকে, সড়কে লাগাতার যানজটের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স গাড়ীকে গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে যাত্রীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
রাস্তায় প্রতিদিন যাতায়াতকারী বলছেন, প্রতিদিন সকালে থেকে সড়কে যানজটে পড়তে হয়। সন্তানদের স্কুলে পৌঁছে দিয়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়।সড়কের যানজট এমন পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে যে হাতে সময় নিয়ে বের হলেও সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। দিনের অনেকটা সময় এই যানজটের কারণেই নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া গরমে ও তীব্র যানজটে আটকা পড়ে থেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বলতা চলে আসে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে আগত এক সিএনজি যাত্রীবাহি গাড়ী চালক প্রতিবেদক কে জানান, নারায়ণগঞ্জ শহরের মতো এমন যানজট ঢাকা কোথাও দেহি নেই, এখানে তো বিশাল জ্যাম। ৫ থেকে ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে লেগে যাচ্ছে ঘন্টা-আধা ঘন্টা।
হাসান নামে বিসিকস্থ একটি গার্মেন্টস কর্মী প্রতিবেদক কে জানান, প্রতিদিন বাসা থেকে বের হলেই রাস্তায় যানজটে পড়তে হয়। যানজট পেড়িয়ে গার্মেন্টসে গেলে আর কাজ করার ইচ্ছা হয় না। এমনভাবে চলতে থাকলে এক সময় আমাদের কাজের প্রতি অনীহা চলে আসবে।
ফেন্ডস মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মো:আশরাফ আলী প্রতিবেদক কে জানান, নারায়ণগঞ্জ সড়কে যানজট নতুন কিছু নয়। এটা নৈমেত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তার উভয় পাশে রাস্তা দখল করে রাখে ব্যার্টারি চালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা। দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এগুলোর সংখ্যা ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় যানজট। যানজটের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে থাকতে হচ্ছে।
সাজিদ হাসান নামে এক পথচারী প্রতিবেদক কে জানান, সড়কে প্রচন্ড যানজট। কোন গাড়ির চালকই কথা শুনে না। যে যার মতো চালাচ্ছেন গাড়ি। রাস্তার পাশে ফুটপাথ দখল করে বসানো হয়েছে দোকান। এসব রাস্তা এখন হকার ব্যবসায়ীদের দখলে। এ কারণে গভীর রাত পর্যন্ত বেশিরভাগ রাস্তায়ই যানজট লেগে থাকে।
তিনি আরও জানান, ফুটপাতকে এখনো পথচারীবান্ধব করা যায়নি। পথচারীরা ফুটপাথে হাঁটতে না পেড়ের প্রধান সড়ক দিয়ে হাটে। ফলে প্রায় সময় পথচারীদেরকে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। রাস্তার উভয় পাশে রাস্তা দখল করে রাখে ব্যার্টারি চালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা। দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এগুলোর সংখ্যা। একই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে যানজট।